নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
স্যানিটারি মিস্ত্রির গলা কেটে হত্যা: দীর্ঘ ১৭ বছর পরে ধরলেন র্যাব!

স্যানিটারি মিস্ত্রির গলা কেটে হত্যা: দীর্ঘ ১৭ বছর পরে ধরলেন র্যাব!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লার কোতোয়ালীতে স্যানিটারি মিস্ত্রির গলা কেটে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ইকবাল হোসেন’কে দীর্ঘ ১৭ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

শুক্রবার (৭ জুলাই) বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

 

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, নিহত ভিকটিম রানা খান (২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন চম্পকনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং পেশায় একজন স্যানিটারি মিস্ত্রি। গত ৩০ এপ্রিল ২০০৬ সালে প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার শেষ করে ভিকটিম রানা খান নিজ গৃহে ঘুমাতে যায়। রাত অনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে ভিকটিম এর প্রতিবেশী বন্ধু জুয়েল মিয়া (২০) ভিকটিমের বাড়ীতে এসে তার মা’কে বলে ভিকটিম রানা খান’কে নিয়ে স্থানীয় বিলে মাছ ধরতে যায়। কিন্তু রাতে ছেলে ভিকটিম রানা খান বাড়ীতে ফেরত না আসায় ভিকটিমের পিতা-মাতা সকাল বেলায় সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকেন এবং দুপুর আনুমানিক ৩টার সময় লোকমুখে শুনতে পান যে, উত্তরণ হাউজিং সোসাইটির দক্ষিণ পার্শ্বে বিলের মাঝে একটি লাশ পড়ে আছে। খবর শুনে ভিকটিমের পিতা-মাতা দ্রুত ঘটনাস্থালে যায় এবং উক্ত লাশটি তাদের সন্তান বলে শনাক্ত করেন।

নিহত ভিকটিক রানা খান কর্তৃক এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ধৃত আসামী ইকবাল হোসেন (৪০) এবং তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় ভিকটিম রানা খান (২০)’কে জবাই করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বিলের মধ্যে গুম করে রাখে বলে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ জানতে পারে। উক্ত অমানবিক ও পাশবিক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সে সময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উক্ত ঘটনায় নিহত ভিকটিমের পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানায় ০৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০১/০৫/২০০৬, জিআর-২১১/০৬, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও ১০ জনকে আসামী করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। আসামী ইকবাল হোসেন ০৬ মাস কারাভোগের পর ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জামিনে গিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আসামীরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশের প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীদের অনুপস্থিতিতে ভিকটিম রানা খান (২০)’কে হত্যার দায়ে গত ১৮ জুন ২০২৩ ইং তারিখে ০৭ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ০৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ড এবং ০৪ জনকে খালাস প্রদান করেন।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামালায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইকবাল হোসেন (৪০) আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন চম্পকনগর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ৭ জুলাই বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ইকবাল হোসেন (৪০), পিতা- মোঃ হোসেন মিয়া, সাং- চম্পকনগর সাতরা, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, সে ভিকটিম রানা খান (২০)’কে নির্মম ও নৃশংসভাবে দেশীয় ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার পর লাশ গুম করে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে করে ছিলো।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com