হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ার মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল। এরই মধ্যে সীমান্ত পথেও প্রবেশ করেছে রাশিয়ান বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেনের রাজধানী থেকে পালাতে শুরু করে মানুষ।বিশ্বব্যাপী উঠেছে নিন্দার ঝড়। কিন্তু এ হামলায় সারা দুনিয়াতেই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।
ইতিমধ্যেই জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ছাড়িয়েছে ১০০ ডলার। এটি গত প্রায় ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইউক্রেন ইস্যুর ফলে বিশ্ববাজারে নেতিবাচক বাণিজ্যের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে বলে মনে করেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা।
তারা বলেছেন এটা সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে। তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাবে বাংলাদেশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে চাপ পড়বে। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানির ওপরে চাপ সৃষ্টি হবে। এতে দ্রব্যমূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। যদি এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে সমস্যাটা আরও প্রকট হতে পারে এবং সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
রূপপুরে আমাদের সর্ববৃহৎ পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যঘাত ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে সেটার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজার সম্পূর্ণভাবে অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। কূটনৈতিক মধ্যস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। সশস্ত্র বাহিনীর কাছে রাশিয়ার তৈরি সেসব সরঞ্জামাদি আছে এগুলোকে চলমান রাখা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্পূর্ণভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এই হামলার কারণে সারা পৃথিবীতে যে সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ রুট রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হয়ে যাবে। গমের একটি বড় অংশ এই অঞ্চল থেকে আসে। ফলে খাদ্যবাজার অস্থির হয়ে যাবে এবং খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলা শুরু হওয়ায় জ্বালানির দাম বিশ্ববাজারে খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যাচ্ছে। শুধু জ্বালানির মূল্য নয় এর সঙ্গে অন্যান্য জিনিসেরও দাম বেড়ে যাবে।(নিউজ সংগৃহীত)