নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাউজানে গৃহবধু ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ রুবেল (৩৭)’কে নগরীর চাঁদগাও এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ধর্ষিতা ভিকটিম চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকায় স্বামী ও ২ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ভিকটিদের প্রতিবেশী মোঃ রুবেল এর সাথে ভিকটিমের স্বামীর সুসম্পর্ক ছিল এবং এ সুবাধে রুবেল প্রায়ই ভিকটিমদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে ভিকটিমের স্বামী কর্মস্থলে চলে গেলে ভিকটিমকে বাড়িতে একা পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামী রুবেল তার ৩ জন সহযোগীর সহায়তায় ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে রুবেল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বামী বাড়িতে এসে তার সন্তানদের নিকট জানতে পারেন তার স্ত্রীকে রুবেল এবং তার সহযোগীরা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এছাড়া অপহরণকারীরা তার ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৭/৪৫ তারিখ-০৯ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ ধারাঃ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ এবং র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে বিষয়টি অবহিত করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমের বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করতঃ বর্ণিত ধর্ষণ মামলার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে বর্ণিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ রুবেল আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাঁও থানাধীন সিএন্ডবি এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রুবেল (৩৭), পিতা- মৃত ঈসমাইল, সাং-জগৎপুর আশ্রম, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী এবং উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃত্ত ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।