নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর বালুচড়া থেকে মা-বাবার সাথে ফটিকছড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কুমারীকুল রাস্তার মাথায় বেপরোয়া গতির সিএনজি গাড়ি উল্টে গুরুতর আহত হয়েছেন মা-বাবা ও মামাসহ এক বছর বয়সী শিশু শোরনীল মহাজন।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দূর্ঘটনা ঘটলেও দুপুরের দিকে শিশু শোরনীল মহাজনের মৃত্যু হয় বলে জানান নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশের এসআই আনিস।
পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের কে উদ্ধার করে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দূর্ঘটনায় আহতরা হলেন, সিএনজি গাড়ির চালক ইয়াকুব, শাশ্বত ঋত্বিক মহাজন (৩৪),ঋদ্ধি দাস(১৪), মনীষা দাস (২৪)।
দূর্ঘটনায় নিহত শিশু শোরনীল মহাজন পুলিশ সদস্য শাশ্বত ঋত্বিক মহাজনের সন্তান।
সূত্রে জানা যায়, লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার বাসিন্দা শাশ্বত ঋত্বিক মহাজন তার স্ত্রী, এক বছর বয়সী সন্তান ও শালাকে নিয়ে বালুছড়া এলাকা থেকে ফটিকছড়ি যাওয়ার পথে উল্লেখিত স্থান অতিক্রম করার সময় তাদের বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা (চট্টগ্রাম -থ ১১-০০২) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে সিএনজি টেক্সী চালক ইয়াকুব, যাত্রী শাশ্বত ঋত্বিক মহাজন ও তার সন্তান শোরনীল মহাজন, ঋদ্ধি দাস ও মনীষা দাস পিতা অজয় দে, গুরুতর আহত হয়। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, গুরুতর আহত শাশ্বত মহাজনকে এখানে আনা হলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ওসি আনিস এ প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় একটি শিশু নিহত হয়েছে আর বাকী আহতরা সবাই চিকিৎসাধীন আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মান্নান এ প্রতিবেদককে বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান।