নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্দর থানার অভিযানে পথচারী লোকজনকে নারী দিয়ে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে মারধর। এরপর মোবাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে পুনরায় অর্থ দাবিচক্রের মূলহোতা ও নারীসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করা হয়।
বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাকিলা সোলতানা বলেন, বন্দর থানাধীন ধুমপাড়া সাগরপাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ ফুল মিয়া, মোঃ হাসান শেখ এবং হামিদা আক্তার প্রঃ রুনাকে আটক করেন।
মামলার বাদি ভ্যান গাড়িযোগে কসমেটিক্স বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি ২৭ এপ্রিল বিকাল অনুমান ৫টার দিকে কলসিদিঘি রোডে কাজি অফিসের পাশে থাকা একটি দোকানে কসমেটিক্স মালামাল ক্রয় করার জন্য যান। দোকানটি বন্ধ পাওয়ায় দোকানের সামনে দাঁড়ালে একজন মহিলা এসে বাদিকে বলে সেও কসমেটিক্স এর ব্যবসা করে, সামনে আরো একটি কসমেটিক্সের দোকান আছে বলে বাদিকে তার সাথে যাওয়ার জন্য বললে বাদি তার সাথে যায়। তারপর একই তারিখ বিকাল অনুমান ৫টা ১৫ মিনিটের সময় একটি গলির ভিতরে নিয়ে মোবাইলে অজ্ঞাতানামা কারো সাথে কথা বলে দ্রুত সেখানে যেতে বলে।
তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত স্থানে মোঃ ফুল মিয়া ও মোঃ হাসান শেখ গিয়ে রুমের সিটকানি ভিতর থেকে লাগিয়ে দিয়ে হাতে থাকা ছুরি ও খুর দেখিয়ে ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদান করতঃ চড়-থাপ্পড় দিয়ে সাথে থাকা নগদ ২,৫০০/-টাকা, ব্যবহৃত রেডমি-১১ মোবাইল সেট ও হাতে থাকা ব্রেসলেট জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
বাদির নিকট থেকে উপর্যুক্ত মালামাল নেওয়ার পরও আরো ২০,০০০/- টাকা দাবি করে এবং বলে ২০,০০০/- টাকা দিলে তার নিকট থেকে নেওয়া মোবাইল ফেরত দিবে। অভিযুক্তগণের দাবিকৃত টাকা নিয়ে ০১ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কাছে একা যেতে বলে বাদিকে মাগরিবের নামাজের পরে অর্থাৎ সন্ধ্যা অনুমান ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে ধাক্কা দিয়ে রুম হতে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে বাদি রিক্সা নিয়ে তার বর্তমান ঠিকানার বাসায় চলে যায়। পথিমধ্যে পতেঙ্গা থানার বাদির এক পরিচিত পুলিশের সাথে দেখা হয় এবং তাকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করলে তিনি বাদির কাছ থেকে ঘটনা শুনে বন্দর থানায় সংবাদ দিলে বন্দর থানার টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী বন্দর থানাধীন ধুমপাড়া সাগরপাড়, কমিশনার গলিস্থ শামীম স্টোর নামক দোকানের সামনে রাস্তার উপর থেকে বাদির শনাক্তমতে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
তাদের হেফাজত থেকে (ক) ০১টি টিপ ছোরা, (খ) ০১টি রেডমি-১১ মোবাইল সেট, (গ) ০১টি ব্রেসলেট (ঘ) ০১ (এক) টি খুর ও (ঙ) নগদ ২,৫০০/-(দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা উদ্ধার করা হয়।