নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।
রোববার (১০ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। প্রথম জামাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সোলায়মান শেঠ, বিএনপি নেতা মীর নাছিরসহ বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ৯টায়।
এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহার জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান।
ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আতর মেখে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে আসেন মুসল্লীরা। খতিব এ সময় খুতবা পাঠ করেন। খুতবা পড়ার সময় কিভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কিভাবে বিলিবন্টন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বয়ান করেন। এছাড়াও বয়ানে করোনাভাইরাস ও চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে তিনি ফরিয়াদ জানান। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। এরপর প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী কোলাকুলি করেন অনেকে।
এর আগে লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদ জামাত শেষে শুরু হয় পশু কোরবানির তোড়জোড়। ভোরেই কোরবানি করার জন্য পশুকে গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়। মহামারি সত্ত্বেও অনেকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ছুটে গেছেন গ্রামে। অনেকে যেতে পারেননি বা যাননি। যারা শহরে রয়ে গেছেন, তারা নিজেদের ও প্রিয়জনের নামে পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে সচেষ্ট হয়েছেন। পরে সমাজের দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে কোরবানির মাংস বিলি করেন সামর্থ্যবানরা।