নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ৩০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। এ সময় চাঁদাবাজির টাকা ও বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাত্রীবাহী সিএনজি থেকে চাঁদা আদায়কারী ১৩, পাহাড়তলী থানাধীন হোটেল মেরিন সিটি এর সামনে থেকে যাত্রীবাহী মিনিবাস থেকে চাঁদা আদায়কারী ৪ জন, আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় হতে ০৩ জন এবং বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় হতে যাত্রীবাহী মিনিবাস ও ট্যাম্পু থেকে চাঁদা আদায়কারী ০৬ জনসহ সর্বমোট ৩০ জন চাঁদাবাজকে নগদ ৪১,৫৬৩ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব ৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এমএ মাহবুব আলম বলেন সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের নিকট উপর্যপুরী এবং প্রত্যক্ষ কিছু অভিযোগ গৃহীত হয় যে, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর আওতাধীন ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে অবৈধ উপায়ে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আরও কিছু চাঁদাবাজির অভিযোগ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। মাত্র দুই ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করে ৬ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজির প্রাক্কালে ৩০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রিয়াদ এবং বখতিয়ার উদ্দিন সিকদার এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রতিদিন সিএনজি অটোরিক্সা হতে মাসিক ১,০০০ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করে। উক্ত চাঁদার অর্থ শাহেদ রানা এবং মোঃ আবুল হোসেন নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
পাহাড়তলী থানা এলাকায় মোঃ পেয়ার আহম্মেদ এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা টমটম/সিএনজি থেকে মাসে ৮০০ করে ৮০, ০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ খলিলুর রহমান নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় এলাকায় নারায়ন দে এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিনিবাস থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ সমু এবং নিপু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকায় মোঃ সোহেল এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে সর্বমোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিনিবাস এবং ট্যাম্পু থেকে মাসিক ৮০০ টাকা করে ৮০, ০০০ চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ নূরুল হক পুতু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত ৩০ জন চাঁদাবাজের মধ্যে ১০ জনের নামে হত্যা/দস্যুতা/লুন্ঠন/চাঁদাবাজি/চুরি/ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যায়।