নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোক্তার হোসেন (৪৫)’কে আটক করেছে র্যাব-৭।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে তাকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগী ভিকটিম ১৮ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন সিকদারপাড়া এলাকায় তার মা এবং ভাই বোনসহ বসবাস করত। আসামী মোক্তার আহমদ (৪৫) ভিকটিমের পাশের বাড়িতে বসবাস করত। মোক্তার ভিকটিমকে প্রায়ই বিভিন্ন প্রকার কুপ্রস্তাব দিত এবং তার প্রস্তাবে রাজী না হলে ভিকটিমকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিত।
আসামী এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার ভয়ে কিছু বলত না। গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে আসামী মোক্তার তার সহযোগী শিমুল এবং আনু বেগম এর সহায়তায় ভিকটিমকে তার বাড়ির সামনের রাস্তা হতে অপহরণ করে সিএনজিতে করে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আসামী মোক্তার এবং শিমুল ভিকটিমকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন ২৮ অক্টোবর আসামীরা ভিকটিমকে অসুস্থ্য অবস্থায় বাঁশখালী থানাধীন কাতারিয়া এলাকায় ভিকটিমের আত্মীয়ের বাসার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় ০৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০২, তারিখ- ০২ নভেম্বর ২০২২ ইং ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩)
এর ৭/৯(৩)/৩০ এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত অপহরণ এবং গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম জেলার সাতঁকানিয়া থানাধীন বরুমছড়া এলাকা হতে উক্ত অপহরণ ও গনধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০১ নং পলাতক আসামী মোক্তার হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত আব্দুস ছালাম, সাং- সিকদারপাড়া, থানা-সাতঁকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে যে, সে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ১নং পলাতক আসামী এবং তারা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে গণধর্ষণ করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।