নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
ইসলামে নারীর পেশা গ্রহণের স্বাধীনতা

ইসলামে নারীর পেশা গ্রহণের স্বাধীনতা

আশফা খানম:

এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আজ আমাদেরকে ইসলমের দৃষ্টিতে পেশা গ্রহণে নারীর স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে।

এই শতাব্দীতে ঘরে-বাইরে অহরহ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে এবং ঘটনার শিকার নারীকেই সেই মজলুমকেই সবসময় প্রধান দোষী ব্যক্তি সাব্যস্ত করার অপ্রয়াস চালানো হয়।

অথচ গৃহে অন্তরীণ নারীটিও নিরাপদে নেই। প্রকৃতপক্ষে দুনিয়ায় মজলুম মানুষের তালিকায় নারীরাই শীর্ষে। নারী বহুবিধ জনগোষ্ঠী কর্তৃক দূর্ব্যবহার ও নির্যাতনের শিকার।

আবার ধর্মগ্রন্থে বিধৃত বাণীর অপব্যবহার এবং ভুল উদ্ধৃতির মাধ্যমে নারীদেরকে বঞ্চিত ও নির্যাতন করা হয়। অথচ ইসলাম নির্যাতিত মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধ ও সংগ্রাম করাকে মুমিনদের জন্য ফরজ করেছে।

কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে মুমিনরা এ আদেশ ভুলে গিয়ে বিশেষ করে নারীর মুক্তির জন্য সংগ্রাম ছেড়ে দিয়েছে এবং তাদের সাথে যে আচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে তারা তা করছে।

আজকাল দেখা যায় যিনি যত বাহ্যিকভাবে ধার্মিক হিসেবে পরিগণিত তিনি নারীর প্রতি তত অত্যাচারী। মোনাফেকী এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পুরুষাধিপত্যে বিশ্ববাসীরা সত্যি সত্যি ‘ইসলামে নারীর মর্যাদা’ শীর্ষক গ্রন্থ রচনা করে ইসলাম নারীকে মুক্তি দিয়েছে বলে বড়াই করে।

আবার অপরদিকে তারাই নারী নির্যাতনকারী সংগঠন সমূহের কাজে তৎপর। অনেক মুসলিম নারী অজ্ঞতা কিংবা নৈরাজ্যের কারনে দুর্ব্যবহারকে তাদের ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছে। অল্পসংখ্যক যারা নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তারাই হতাশার সম্মুখীন হয়েছে এবং ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে পশ্চিমা জীবনধারা কিংবা পাশ্চাত্য সমাজতান্ত্রিক আদর্শ গ্রহণ করেছে। আর ক্রমবর্ধমান মুসলমান নারীদের এই হতাশার সুযোগ গ্রহণ করে ইসলামের শত্রæরা ইসলামের বিরুদ্ধে তাদেরকে বিদ্রোহী করে তোলে।

শৈশব থেকে জেনে এসেছি নারীর প্রধান কর্মক্ষেত্র গৃহে আর পুরুষের প্রধান কর্মক্ষেত্র বাহিরে। বিশেষতঃ মুসলমান নারীর জন্য এটাই প্রযোজ্য। প্রয়োজন ছাড়া নারীর ঘর হতে বের হওয়াকেও খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয়।

এখনও রান্না-বান্না, গৃহস্থালী কাজকর্ম এবং সন্তান প্রতিপালনই নারীদের প্রধান কর্ম হিসাবে পরিগণিত করা হয়। এমনকি অনেক উচ্চশিক্ষিত নারীও উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট অর্জন করলেও মন-মানসিকভাবে কোন পরিবর্তন ঘটেনি। পুত্রবধু পছন্দের তালিকায় তারা অল্পবয়স্ক, সাংসারিক কাজে পারদর্শী মেয়েদের বৈশিষ্ট্যকেই প্রাধান্য দেয়। যেন সংসারে সবাইকে সন্তুষ্ট রাখা ও খাওয়াদাওয়ার জমজমাট বাহারী পরিবেশনই নারীর জীবনের একমাত্র ও মুখ্য দায়িত্ব।

নারী যেন মানুষ নয় অন্য গ্রহের প্রাণী বা এমন প্রাণ যার জন্য মানুষ নামের জীবের জন্য যে সকল অধিকার রয়েছে এবং ইসলাম নারীকে যে স্বাধীনতা দিয়েছে তার কোনটাই তার জন্য প্রযোজ্য নয়। সৃষ্টিকর্তা দ্বারা নয় বরং মানুষ নামের প্রাণীরাই নারী নামের এই প্রাণীকে নিয়ন্ত্রণের জন্য, তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ না ঘটার জন্য, তার অর্থনৈতিক মুক্তিতে শেকল পরাবার জন্য, স্বাধীন প্রাণী হিসেবে নিঃশ^াস না নেবার জন্য সৃষ্টির সেরা এই জীবটির জন্য নিজেদের বানানো, ধর্ম বিকৃত করে তাতে বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এই সমাজে এমন অনেক মেধাবী নারী আছেন যারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী প্রভৃতি উচ্চতর ডিগ্রী কৃতিত্বের সাথে অর্জন করার পরও শুধুমাত্র পর্দার অজুহাত দেখিয়ে বা সংসার, সন্তান প্রতিপালনের অজুহাতে তাদের যোগ্যতাকে সমাজ, দেশ ও জাতির কাজে লাগানো থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

আর অবলা, অসহায় সেই নারীরা তা মেনে নিয়ে গৃহে নিজেকে অন্তরীণ রেখে নিজের সত্ত¡াকে বিসর্জন দেয়, নতুবা বিদ্রোহী হয়ে উঠে। সৃষ্টিকর্তা আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে মানুষকে সৃষ্টি করে তাকে খলিফার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনে এ প্রসঙ্গে অনেক আয়াত থাকলেও এই প্রবন্ধে আয়াতের উপর আলোকপাত করে এবং ইসলামের ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা থেকে সেরা কিছু মহিলা সাহাবীদের ঘটনা দিয়ে ইসলাম নারীকে যে পেশা গ্রহণের স্বাধীনতা দিয়েছে তা উদ্ঘাটন করার সীমিত জ্ঞানে আমার ক্ষুদ্র চেষ্টা।

আমরা জানি কুরআন অবর্তীন হয় পর্যায়ক্রমে এবং কোন বিষয়ে সর্বশেষ যে সকল আয়াত নাজিল হয় সেইগুলোকেই ঐ বিষয়ে কোরআনের চূড়ান্ত বিধান বলে মনে করতে হবে এবং নাযিলকৃত আয়াত কুরআন বা সুন্নাহর শানে নযুলের সাথে এবং ঘটনাপ্রবাহের আলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে।

আল্লাহ সুবাহানতা’লা যুগে যুগে নবী-রাসুলদেরকে পাঠান মানবকল্যাণে মহান কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। অতএব কোন তাফসীর বা ব্যাখা যদি সেই উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে যায় এবং আমাদেরকে ইসলামের বিশ^দৃষ্টি থেকে বিচ্যুতি করে তবে তা অবশ্যই প্রত্যাখান করতে হবে।

এর তাফসীর অবশ্যই মহানবী (সাঃ) এর জীবন ও শিক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। কেননা আয়েশা (রাঃ) এর ভাষায় মহানবী (সাঃ) ছিলেন জীবন্ত কোরআন। প্রসঙ্গতঃ কোরআনকে একই সঙ্গে বিবেচনায় আনলে দেখা যায়- কোরআন নিজেই তার উত্তম তাফসীর।

এই সকল নীতিমালার আলোকে সুরা তওবার ৭১ নং আয়াত এবং সুরা নিসার ৩৪ নং আয়াত আমরা বিশ্লেষণ করতে পারি নারীর অবস্থান জানার জন্য। সুরা নিসার ৩৪ নং আয়াত সব আলেম ওলেমারাই বিধৃত করেন।

আল্লাহ বলেন- “পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ কারণে যে আল্লাহ তাদের এককে অন্যের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন। আর এজন্য যে, পুরুষেরা স্বীয় ধন-সম্পদ মর্যাদা প্রদান করেছেন। আর এজন্য যে, পুরুষেরা স্বীয় ধনসম্পদ হতে ব্যয় করে। প্রথম অংশ

 

লেখক : শিক্ষাবিদ, কলামিষ্ট, নারী উন্নয়ন কর্মী ও প্রিন্সিপ্যাল, সিভিএনএস (চট্টগ্রাম ভিক্টোরী ন্যাশনাল স্কুল, চট্টগ্রাম)।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com