নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
আপন দুই ভাইকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে ঘাতক দুই ভাই আটক

আপন দুই ভাইকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে ঘাতক দুই ভাই আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বিজ্ঞাপন

গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, গত ১০/১৫ দিন পূর্বে নিহত ভিকটিমের পরিবারের গৃহ পালিত গরুর খুঁটিসহ রশি ক্ষেত থেকে চুরি হয়ে যায়। এরপর গত ১৬ ডিসেম্বর  সকাল ১১টার সময় নিহত ১নং ভিকটিম পূর্বের ন্যায় তাদের গৃহপালিত গরু নিয়ে ক্ষেতে গিয়ে দেখতে পায় যে, মোঃ শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাদের চুরি হওয়া রশি দিয়ে তার গৃহপালিত গরু বেঁধে রেখেছে। তখন ১নং ভিকটিম মৃত জালাল উদ্দিন উক্ত ব্যক্তিকে রশি কোথায় পেয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সময় মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সাথে তর্ক বিতর্ক হয় এবং একপর্যায়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম নিহত ১নং ভিকটিম জালালকে মারধর করে। ভিকটিমের চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসলে মোঃ শফিকুল ইসলাম ভিকটিমকে সুযোগমত দেখে নিবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে চলে যায়।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে ঐদিন বিকাল আনুমানিক ৩টা ৪৫ মিনিটের সময় মোঃ শফিকুল ইসলামসহ তার তিন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো ছোরা, কিরিচ, গাছের লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় তৈরী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ১০ নং পদুয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম খুরুশিয়া মধ্যম পাড়া রাস্তার উপর এসে অতর্কিতভাবে নিহত ১নং ভিকটিম জালালকে মারধর করে। সে সময় মোঃ শফিকুল ইসলামের ১ম ছেলে মোঃ খোরশেদ আলম এর হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং ভিকটিম জালালের বুকের বাম পাশে আঘাত করলে সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

ভিকটিমের চিৎকার শুনে তার অপর ভাই নিহত ২নং ভিকটিম কামাল হোসেন এগিয়ে গেলে তখন মোঃ শফিকুল ইসলামের ২য় ছেলে মোঃ মোর্শেদুল আলম এর হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দ্বারা বুকের বাম পাশে আঘাত করলে সেও সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন তাদের চিৎকার শুনে অপরাপর আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে আসলে তখন মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং তার ছেলেরা মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছোরা, কিরিচ, লোহার রড ও গাছের লাঠি ইত্যাদি দিয়ে এলোপাথারি ভাবে হাতে পায়ে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে উক্ত আত্মীয় স্বজনদেরকেও গুরুতর জখম করে।

ততক্ষণে নিহত ১ ও ২ নং ভিকটিমের মা সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজনসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মোঃ শফিকুল ইসলাম তার ছেলেদেরকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ১ ও ২ নং ভিকটিমের মা উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় উল্লেখিত ভিকটিম গণকে উদ্ধারপূর্বক রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার ছেলে ১নং ভিকটিম জয়নাল উদ্দিন @ জয়নাল ও ২নং ভিকটিম কামাল হোসেন দ্বয়কে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর ভিকটিমদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

উক্ত ঘটনায় নিহত ১ ও ২ নং ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় ৪ জন নামীয় ও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের কওে, যার নং-০৫, তারিখ-১৭ ডিসেম্বর ২০২২ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

ঘটনাটি নৃশংস ও লোমহর্ষক হওয়ায় মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত ঘটনায় সাথে জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম তথ্য প্রযুক্তি ও ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহার নামীয় ৪নং আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম @ সাইফু (৪২), পিতা- মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাং-পশ্চিম খুরুশিয়া, থানা- দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন পূর্ব নিমতলা ডিয়ারপাড়া একটি বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় আত্মগোপন করে আছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সময় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী উল্লেখিত হত্যা মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যমতে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় ২নং আসামী মোঃ মোর্শেদুল আলম (২২), পিতা- মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাং- পশ্চিম খুরুশিয়া, থানা- দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম’কে চট্টগ্রাম মহানগরের বন্দর থানাধীন বেচাশাহ রোডস্থ পশ্চিম গোসাইল ডাংগা একটি বাড়ি হতে গত মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর  দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় উল্লেখিত নৃসংশ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com