নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ১৬ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার আসামী রকি দত্ত (২০)’ কে খাগড়াছড়ি হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগী ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা এলাকায় বসবাস করত। আসামী রকি দত্ত (২০) এর সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত ১৫ মার্চ আসামী রকি দত্ত ভিকটিমকে তার ব্যক্তিগত সিএনজিতে করে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পারকি সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যায়। সেখান হতে রকি ভিকটিমকে আনোয়ারা থানাধীন ইছামতি এলাকায় নিয়ে যায় এবং সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা তার ৩ সহযোগী পলাশ, শীপঙ্কর এবং চন্দনসহ রকি ভিকটিমকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গনধর্ষণ করে। এসময় টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে ধর্ষকরা ভিকটিমকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৯/৬১, তারিখ-১৮ মার্চ ২০২৩খ্রিঃ, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোঃ-২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ তৎসহ ৩৭৯ পেনাল কোড।
বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আনোয়ারা থানা পুলিশ উক্ত গণধর্ষণের সাথে জড়িত আসামী পলাশ(২৬), শীপঙ্কর (২৭) এবং চন্দন (২৫)কে আটক করে কিন্তু উক্ত ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী রকি দত্ত পলাতক থাকে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভুক্তভোগী নাবালিকা ভিকটিমের বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করতঃ বর্ণিত গণধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামী রকি দত্তকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১১ এপ্রিল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার মহিলা কলেজ রোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলার ১নং আসামী রকি দত্ত (২০), পিতা-বিধান দত্ত, সাং-সিংহরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমকে গণধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।