হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নাজিরহাটে হানাদার মুক্ত দিবস আগামীকাল।
আগামীকাল শনিবার (৯ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও হাটহাাজরী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমাণ্ড বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আলম বলেন, আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টায় শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় পবিত্র খতমে কুরআন তেলাওয়াত হবে এরপর ৭১’র সালে পাক বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যায় শহীদদের এবং আজ পর্যন্ত যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তেকাল করেছেন তাদেরসহ মাগফেরাত কামনা এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ সহ সার্বিক কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর সাথে সম্মুক যুদ্ধে এই এলাকায় ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শহীদদের ম্মৃতিকে ধরে রাখতে বর্তমান সরকার ওই স্থানে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করেছে। এই স্মৃতি স্তম্ভ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুনভাবে শিক্ষা দেবে এবং জাগিয়ে তুলবে একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক চেতনায়। ’
তিনি আরও বলেন, শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে একটি অসাম্প্রদায়িক ,ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, আগামীকাল শনিবার নাজিরহাট হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদের স্মরণে খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিপূর্বে এই দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এইদিনে উত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম রণাঙ্গন নাজিরহাটে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। সম্মুখ যুদ্ধে টিকতে না পেরে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটে। মুক্ত হয় এই অঞ্চল।
ওই সময় যুদ্ধে শহীদ হন, নায়েক তফাজ্জল হোসেন (বরিশাল), সিপাহী নূরুল হুদা (কুমিল্লা), সিপাহী অলি আহম্মদ (খুলনা), সিপাহী নুরুল ইসলাম (সন্দ্বীপ), সিপাহী মানিক মিয়া (চট্টগ্রাম), ফোরক আহম্মদ (নাজিরহাট), হাসিনা খাতুন (নাজিরহাট), আবদুল মিয়া (নাজিরহাট), নুরুল আবছার (কুমিল্লা), মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক (ফরহাদাবাদ) ও নাম না জানা আরও একজন সহ মোট ১১জন মুক্তিযোদ্ধা।
বার্তা প্রেরক:
মো: মহিন উদ্দিন: