নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
একদিনেই ধলই ইউনিয়নে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
২০ বছর পরে চারিয়ার তিন ভাই হত্যা মামলার পলাতক খুনি ধরলেন র্যাব 

২০ বছর পরে চারিয়ার তিন ভাই হত্যা মামলার পলাতক খুনি ধরলেন র্যাব 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া কাজীপাড়া এলাকায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জের ধরে তিন ভাই হত্যা মামলার পলাতক খুনি আবুল কালাম চৌধুরী (৭০) কে ২০ বছর পরে ধরলেন  র্যাব ৭।

গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে নগরীর চান্দগাও থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, বিগত ২০০৩ সালের ২৬ মে সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন চারিয়া কাজীপাড়া এলাকায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জের ধরে কতিপয় দুস্কৃতিকারী গুলি বর্ষন ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আবুল কাশেম, আবুল বশর ও বাদশা নামক ০৩ ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনার দিন সকাল ১১টার দিকে নিহত ভিকটিম আবুল কাশেমকে চায়ের দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় পেয়ে ধৃত আসামি আবুল কালাম চৌধুরী কয়েকজনকে সাথে নিয়ে কাশেমকে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং তার সহযোগী অন্যান্য আসামিরা আবুল কাশেম এর উপর এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করে। এ সময় কাশেমের অপর ২ ভাই আবুল বশর ও বাদশা কে সামনে পেয়ে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কোপায় এবং গুলি বর্ষন করে। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল কাশেম, আবুল বশর ও বাদশা নামক ০৩ ভাই মৃত্যুবরণ করেন। উল্লেখ্য, ঘটনার সময় আসামিগন ৫টি বন্দুক, ২টি কিরিচ, ৩টি এলজি ও ১টি চাকু নিয়ে নিহতদের উপর হামলা চালায়।

পরবর্তীতে নিহতদের ভাই বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-২১(৫)০৩, জি আর নং- ১৩৯/০৩। পরবর্তীতে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করা হয়। যাতে মামলার নম্বর হয় বিশেষ ট্রাইবুন্যাল মামলা নং ৪৫/০৪। মামলা দায়েরের পর আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। আসামি কালাম চেয়ারম্যান সকলের অস্ত্র গুলো জমা নেয় এবং আগ্নেয়াস্ত্রগুলো কলাপাতা দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে এবং কিরিচ গুলো খালের পানিতে ফেলে দেয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জন আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া কার্যক্রম শেষে আসামী আবুল কালাম চৌধুরীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার দীর্ঘ ২০ বছর যাবত পলাতক ট্রিপল মার্ডার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম চৌধুরী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম জেলার চাঁদগাঁও থানাধীন একটি ভাড়া বাড়িতে আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ৭ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী আবুল কালাম চৌধুরী(৭০), পিতা-মৃত আ: লতিফ চৌধুরী, সাং- চারিয়া কাজী পাড়া, থানা- হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com