নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার তাঁর বক্তব্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীসহ উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষকরে অফিসের নিয়ম-শৃংখলা, আইন-কানুন জানা, যথাসময়ে অফিসে আগমন এবং দায়িত্ব শেষে প্রস্থানের অভ্যাস, শিষ্টাচার, নীতি-নৈতিকতা, মানবীয় গুণাবলী ইত্যাদি আয়ত্বকরণে এ শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাক্ষরিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের APA (Annual Performance Agreement)/বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শুদ্ধাচার কৌশল পরিকল্পনার আলোকে শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান।
প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য বলেন, এপিএ চুক্তির আওতায় বিভিন্ন সূচকে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলে অধিকতর সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং একইসাথে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র্যাংকিং এ সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাবে মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালার ট্রেনিং সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক), রেজিস্ট্রার ছাড়াও হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফরিদুল আলম চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ হাছান মিয়া।
দিনব্যাপি কর্মশালায় ৭০ জন কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।