নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মন্দাকিনী এলাকায় গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন কে দেখতে ছুটে গেলেন ৪ বারের সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) বিকাল তিনটার দিকে তিনি নির্যাতিত বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যান।
সাংসদ হুশিয়ার করে বলেন, জায়গায় জমির জন্য একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এভাবে নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটলো? এখানে কারও গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে। ইতিমধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মডেল থানার ওসি কে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল আলম, মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ, সাংসদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সৈয়দ মঞ্জুরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, শওকত আকবর মুন্না,রাশেদুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান।
এদিকে এ ঘটনায় ২৪ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও মুলহোতাদের আটক করতে না পারায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা। যাদের ত্যাগ ও অবদানে আজকে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আজকে তাদের কে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অথচ যাদেরকে পাক বাহিনী ঘায়েল করতে না পারলেও আজ স্বাধীন দেশের মানুষ ঠিকই তাদের কে ঘায়েল নয় নির্যাতন করে। এমন বিস্ময়কর মন্তব্য করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা।
তারা আরও বলেন, মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের অসহযোগিতার কারণে অসহায় এ বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন সমস্যার সৃষ্টি। এখানে তো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কেউ নেই তাই এমন অবস্থার সৃষ্টি। সঠিকভাবে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে যদি মেম্বার ও চেয়ারম্যান এর গাফিলতির প্রতীয়মান হয় তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।
অন্য দিকে এখনও পর্যন্ত মুলহোতাদের আটক করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আলম।