নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরের নারায়নহাট ও কুমিল্লা দেবীদারসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক করে র্যাব-৭।
গত ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানীর ফটিকছড়ি জোনের ডিলার তার দোকানের ঘুমাচ্ছিল। রাত আনুমানিক ১১৩০ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা কতিপয় ডাকাত দল দোকানটি ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে তাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে ডাকাত দল উক্ত দোকান হতে প্রায় ১ লাখ আবুল বিড়ি, ৭৮ হাজার ম্যারিজ সিগারেট, ২ লাখ টাকা এবং ২টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানীর ফটিকছড়ি জোনের ডিলার চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৬, তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০।
কিছুদিন পূর্বে ভুজপুর থানা পুলিশ আলাউদ্দিন ও রিপন নামে দুজন ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং তাদের কাছ থেকে আরও কয়েকজন ডাকাত দলের সদস্যের তথ্য পায়। এ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য ভুজপুর থানা পুলিশ কর্তৃক র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অনুরোধ করে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা ও ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ০৮ এবং ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং, হালিশহর এবং কুমিল্লা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ৭৮০০ মেরিজ সিগারেট এবং নগদ ৩৬,০০০ টাকা উদ্ধারসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের লিডার আসামী ১। মোঃ মামুন(৩৪), পিতা-মৃত. হাসমত আলী, সাং-বেলানগর, থানা-দাউদকান্দী, জেলা-কুমিল্লা এবং তার অপর ৩ সহযোগী ০২। মোঃ আলী(৩৮), পিতা-মৃত. হাসমত আলী, মাতা-সাজিয়া বেগম, সাং-বেলানগর, খন্দকার বাড়ী, থানা-দাউদকান্দী, জেলা-কুমিল্লা, ০৩। মোঃ এনায়েত উল্লাহ @ শান্ত(২৮), পিতা- মোঃ শাহজাহান, সাং-পশ্চিম বাগিচাগাঁও, থানা-কোতায়ালী, জেলা-কুমিল্লা এবং ৪। মোঃ রাসেল(২৫), পিতা-মৃত. ঝারু মিয়া, সাং-বেলানগর, থানা-দাউদকান্দী, জেলা-কুমিল্লাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে তারা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রীয় সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা বর্ণিত মামলার ঘটনাস্থলে নাইট গার্ড এর হাত-মুখ বেধে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।