নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর জেলি মিশানোর দায়ে ৮ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন র্যাব ৬।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের কে আটক করা হয়।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আব্দুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর অপদ্রব্য (জেলি) পুশ করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, রূপসা, খুলনার সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।
এ সময় অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য (জেলী) পুশ করার দায়ে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইনে ব্যবসায়ী ১। আবু আমির(৪২), ২। মোঃ আব্দুল হাকিম(৩৭), উভয় থানা-রূপসা, জেলা- খুলনাদ্বয়কে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা করে ২ জনকে মোট ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার টাকা), ৩। মোঃ রানা(২৯), ৪। মোঃ শামিম সিকদার(৩২), ৫। মোঃ শান্ত শেখ(২৭), ৬। মোঃ রাসেল সরদার(২৯), ৭। সুমন শেখ(২২), ৮। মোঃ ডালিম শেখ (৩৬) সর্ব থানা-রূপসা, জেলা-খুলনাদেরকে ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা করে ৬ জনকে মোট ৬০,০০০/-(ষাট হাজার) টাকা, সর্বমোট ১,১০,০০০/-(এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে জেলী পুশকৃত ৬০ কেজি চিংড়ি, যার আনুমানিক মূল্য ৬০,০০০/- টাকা, অপদ্রব্য জেলী ৪৫ লিটার এবং অপদ্রব্য জেলী পুশ কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। জব্দ কৃত চিংড়ি মাছ, অপদ্রব্য (জেলি) ও অপদ্রব্য পুশ করার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।
জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা তাৎক্ষনিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।