নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
একদিনেই ধলই ইউনিয়নে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
হাটহাজারীতে ৭ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য জমি এখন অনাবাদি

হাটহাজারীতে ৭ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য জমি এখন অনাবাদি

মোঃ আতাউর রহমান মিয়া:
চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে কয়েকটা বিল বা শস্যক্ষেত  অনাবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে  অর্থাৎ আবাদযোগ্য ৭ হাজার হেক্টর কৃষি জমি  অনাবাদি  হয়ে  পড়ে আছে বছরের পর বছর ।

সবুজে ছেয়ে যাওয়া ক্ষেত খাদ্য শস্যের নয়  তা হচ্ছে আগাছার জঙ্গল , যা গোবাদি পশুরও খাদ্য নয় এমন ঘাস । আর এই অনাবাদি জমির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাটহাজারী পৌরসভা সদরের ফটিকা বিল, গুমান মর্দ্দন বিল, মাদার্শা বিল, আমানত আলী সড়কের পাশের বিল ইত্যাদি । এসব বিল বা শস্য ক্ষেত অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর । এখন  আবাদি ফসলের পরিবর্তে আগাছায় ভরে গেছে সে সব শস্য ক্ষেত ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে চাষী মাহবুবুল আলম বলেন,  চাষাবাদে অনেক খরচ কিন্তু আশানুরুপ টাকা আয় হয় না তাই  আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি ।

চাষী ইউছুপ বলেন খরচ তো আছেই এদিকে একটু বৃষ্টি হলেই ক্ষেতের ফসল পানিতে ডুবে পঁচে যায় , পানিসেচ ও  নিকাশের কোনো ব্যবস্থা নেই ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরেক চাষী খলিলুর রহমান বলেন , গরু দিয়ে হাল চাষ এখন আর চলেনা , তাছাড়া খালের এ পাড়ে ট্রাক্টর বা কলের লাঙ্গলও না থাকায়  জমি চাষাবাদের  প্রতি  আমাদের আগ্রহ  নাই ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জমি মালিক মোঃ হারুন বলেন, চাষীদেরকে বর্গা চাষের কথা বললে তারা বলে এখন হাল চাষের গরু নাই, কলের লাঙ্গলের অভাব  লেবার কস্ট বেশী, চাষ  করে পুসায় না।

জমি মালিক জামশেদ বলেন, চাষীদের পিছে ঘুরে কোনো ফল হয় নাই  তাই জমি চাষ না করায় এখন অনাবাদি হয়ে যাচ্ছে ।

বিজ্ঞাপন

হাটহাজারী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আল-মামুন শিকদার বলেন, এখানে স্থায়ী পতিত জমি ৬৪৯৬ হেক্টর ও আবাদযোগ্য পতিত জমি ৬২০ হেক্টর  পড়ে আছে । কারন হিসেবে তিনি বলেন,অপরিকল্পিত বাড়ি -ঘর নির্মাণ , রাস্তায় সরু কালভার্ট দেয়ায় স্থায়ীভাবে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পতিত জমিতে পরিনত হচ্ছে  । কৃষি জমিতে  পানিসেচ ও নিকাশের কোনো ব্যবস্থা না থাকা  এবং প্রবাসীদের জমি  নিজেরা চাষ না করা  অথবা কাউকে বর্গা বা লীজ না দেয়ায় পতিত জমিতে পরিনত হচ্ছে ।

বিজ্ঞাপন

তিনি  বলেন , এভাবে চাষাবাদে বেশি খরচ হওয়ায় এবং পানিসেচ ও নিকাশের ব্যবস্থা না থাকায়  চাষীদেরও আগ্রহ নাই বললেই চলে ।

তিনি প্রস্তাবাকারে বলেন, যদি ফরহাদাবাদের মন্দাকিনী  থেকে এনায়েতপুর পর্যন্ত খাল কেটে হালদা প্যারালাল খালের সাথে সংযোগ করে দেয়া  যায় এবং আধা বা ১ কি, মি পরপর সূইচ গেট দিয়ে পানি সংরক্ষণ করা যায় তাহলে চাষাবাদে কোনো অসুবিধা হবে না বলে আমার ধারনা ।।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com