নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
২২ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করে বাবা, ৬ বছর পরে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনি ধরলেন র্যাব 

২২ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করে বাবা, ৬ বছর পরে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনি ধরলেন র্যাব 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজের ২২ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতক বাবা আলাল। ৬ বছর পরে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ আলাল প্রকাশ দুদু’কে আটক করলেন র‌্যাব-৭।

গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত সাড়ে ৩টার দিকে রংপুরের খুনি বাবাকে চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম খুলশী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ধৃত আসামী মোঃ আলাল দুদু মিয়া এবং তার স্ত্রী চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করত এবং চাকুরীর সুবাধে চট্টগ্রামে বসবাস করত। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২২ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান ছিল। ভিকটিম শিশু কন্যা সন্তানটি তার নানীর কাছে রংপুরে থাকত। ২০১৬ সালে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে আলাল তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি রংপুরে বেড়াতে যায়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে অনুমান দুপুর ১টার সময় আলাল তার মেয়েকে নিয়ে তাদের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। বিকাল বেলা মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসার কথা থাকলেও আলাল ফিরে না আসায় ভিকটিমের নানী মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে বলে জানায় এবং নাতনীর সাথে তাকে কথা বলিয়ে দেয়। রাত অনুমান ৮টার দিকে ভিকটিমের মামা শুভ তার মোবাইল হতে আলালকে ফোন করলে ফোন রিসিভ করে সে উল্টা-পাল্টা কথা বলে।

আলালের অসংলগ্ন কথা শুনে ভিকটিমের নানী এবং মামা আলালের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার মা, বাবা, ভাই এবং ভাবীকে জিজ্ঞেস করিলে তারাও আলালের ব্যাপারে কিছু বলতে পারে না। আলালের বড় ভাই দুলাল@ঝন্টু তার মোবাইলে ফোন করে তার অবস্থান জিজ্ঞেস করলে সে কোন তথ্য দেয়নি তবে চলন্ত বাসের শব্দ শুনা যাচ্ছিল।

ঘাতক খুনি পিতা

পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে বিকাল অনুমান ৩টার দিকে রংপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন তাজহাট এলাকায় একটি কলা বাগানে ছোট-ছোট বাচ্চারা খেলাধূলা করার সময় একটি শিশু কন্যার লাশ দেখে চিৎকার করলে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসে।

উক্ত সংবাদ পেয়ে ভিকটিম শিশুটির মা, নানী এবং আত্মীয় স্বজন এসে লাশটি তাদের ২২ মাস বয়সী শিশু কন্যা বলে সনাক্ত করে। ভিকটিম শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোকা ধরা, গলায় একটি দাগ এবং কান ও নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার দাগ ছিল।

এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুটির নানী বাদী হয়ে রংপুর জেলার কোতয়ালী থানায় মোঃ আলাল এবং আরও ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং -৫৩, জিআর-৭৮৮/১৬, তারিখ-১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। বাবা কর্তৃক নিজ সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাটি সেই সময় ব্যাপক আলোড়ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে রংপুর থানা পুলিশ আসামী মোঃ আলালকে গ্রেফতার করে গত ২৬ অক্টোবর ২০১৬ সালে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করে। গ্রেফতারকৃত আসামী নিজ হাতে তার ২২ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে হত্যা করেছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে স্বীকার করে। নিজের ২২ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যার দায়ে বিজ্ঞ আদালত আসামী মোঃ আলাল @ দুদু মিয়াকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।

বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত বাবা কর্তৃক ২২ মাস বয়সী নিজ শিশু কন্যাকে হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন পশ্চিম খুলশী এলাকায় আত্মগোপন করে আছে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতারে লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ অক্টোবর মধ্য রাত আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আলাল @ দুদু, পিতা -মোঃ মোসলেম উদ্দিন@প্লান্টু, সাং-কিশামত, থানা-কোতয়ালী, জেলা- রংপুরকে আটক করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত মামলার মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।

ধৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, উক্ত হত্যা কান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর বিচার চলাকালীন সময়ে সে বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়। জামিন পেয়ে সে এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম এসে নিজেকে আত্মগোপন করে।

জামিনে বের হওয়ার পর সে আর আদালতে হাজীরা দেয়নি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরা-ছোয়ার বাইরে চলে যায়। উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করার পর বাদী পক্ষ র‌্যাবের প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com