নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে জামিনে বের হয়ে খুন, আটক ৩

ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে জামিনে বের হয়ে খুন, আটক ৩

  • নিজস্ব প্রতিবেদক:

মিরসরাই এর জোরারগঞ্জে ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে জামিনে বের হয়ে যুবলীগ কর্মী শহীদুল ওরফে আকাশকে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ৩ জনকে আটক করে র‌্যাব-৭।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এমএ ইউসুফ চৌধুরী বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার যুবলীগ কর্মী মোঃ শহিদুল ইসলাম আকাশকে কতিপয় দুস্কৃতিকারী নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত ভিকটিম শহিদুল এবং তার বাবা চট্টগ্রাম জেলার জোরাগঞ্জ থানাধীন চিনকিরহাট এলাকায় একটি ফার্নিচার এর ব্যবসা পরিচালনা করত। প্রতিদিনের মত ঘটনার দিন শহিদুল এবং তার বাবা ফার্নিচারের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করছিল। ঐদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮.৩০ ঘটিকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মোঃ মামুন এবং তার সহযোগীরা বিভিন্ন অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত দোকানে এসে মোঃ শহিদুল ইসলামকে গালাগাল করতে থাকে। শহিদুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করা মাত্র আসামী মোঃ মামুন তাকে টেনে দোকানের বাইরে নিয়ে যায় এবং কিরিচ দ্বারা মাথার পিছনে গভীর জখম করে।

আঘাতের প্রচন্ডতায় শহিদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামী মোঃ মোতালেব তার হাতে থাকা ধামা দ্বারা শহিদুলকে গলায় এবং থুতনীতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে শহিদুলের পিতা তার ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামী মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং দোকানের সামনে রাস্তার উপর তার বুকের উপর বসে হুমকি দেয় যদি সে বেশি নড়াচড়া করে তবে তাকে জবাই করে দিবে। এরপর দুস্কৃতিকারীরা তাদের হাতে থাকা ছুরি, কিরিচ এবং বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দ্বারা শহিদুলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনকে এগিয়ে আসতে দেখে দুস্কৃতিকারীরা গুরুতর আহত অবস্থায় শহিদুলকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে শহিদুলকে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তার পিতা এবং বোন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রথমে মীরসরাই উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ বিষয়ে নিহত ভিকটিম শহিদুলের বোন বাদী হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জন নামীয় এবং ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ১৮ তারিখ ২১ সেপ্টেম¦র ২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

ঘটনার পতিপৃষ্টে জানা যায়, গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং তারিখে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার মোঃ মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেনকে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে কতিপয় দুস্কৃতিকারী কুপিয়ে হত্যা করে। উক্ত সময়ে মামুন এবং তার অপর এক ভাই ইকবাল নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় জেল হাজতে ছিল। উল্লেখ্য, তাদের মধ্যে পূর্ব হতে পারিবারিক ও রাজনৈতিক দ্বন্ধ লেগেই থাকতো। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখে মামুন জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পেয়ে মামুন তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার সহযোগী মোতালেব, রাজু, নেজাম, হামিদ, মুকেশসহ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে জেল হতে জামিনে মুক্তি পাওয়ার ০৫ দিনের মাথায় যুবলীগ কর্মী শহীদুলকে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

পরবর্তীতে যুবলীগ কর্মী মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে আকাশের হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখ ১৭০০ ঘটিকায় উক্ত মামলার ০১ নং এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ মামুন (২৫), পিতা-মিন্টু মিয়া, সাং-ইসলামপুরকে চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী থানাধীন সিডিএ মার্কেট এলাকা হতে এবং ৩নং পলাতক আসামী মুকেশ চন্দ্র দাস, @ সৌরভ দাস (২৪), পিতা-তপন কুমার দাস, সাং-পশ্চিম পরাগপু ও সন্ধিগ্ধ পলাতক আসামী মোঃ ইকবাল (২২), পিতা-মিন্টু মিয়া, সাং-ইসলামপুর, হিঙ্গুলী সর্বথানা-থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রামদ্বয়কে চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজার এলাকা হতে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখ ২০০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে আসামীরা স্বীকার করে, তারা বর্ণিত মামলার এজাহারভুক্ত এবং সন্দিগ্ধ পলাতক আসামী।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com