নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
রাজধানীতে নারী চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, খুনি ধরলেন চট্টগ্রামে

রাজধানীতে নারী চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, খুনি ধরলেন চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেল থেকে গলাকাটা অবস্থায় নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী মোঃ রেজাউল করিম রেজা’কে চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১২ আগস্ট) ভোরে তাকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

র্যাব ৭ এর অধিনায়ক একেম ইউসুফ বলেন, গত ১০ আগস্ট রাতে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামক আবাসিক হোটেল থেকে একজন নারী চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন দেখা যায়।

উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর নং-১০ তারিখ ১০ আগস্ট ২০২২। নারী চিকিৎসকের হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রæতিতে র‌্যাব হত্যাকান্ডে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব- ২ এবং র‌্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মোঃ রেজাউল করিম@রেজা (৩১), পিতাঃ মৃত নবী হোসাইন, কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডের সময় আসামির পরিহিত রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ও ব্যবহৃত ব্যাগ এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত রেজা ভিকটিমকে হত্যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জানায় যে, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে তার পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং অক্টোবর ২০২০ সালে তারা বিয়ে করে। পরিবারের অগোচরে বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। ভিকটিমের সাথে সম্পর্ক থাকাকালীন গ্রেফতারকৃতের একাধিক নারীর সাথে তার সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। এই বিষয়টি ভিকটিম জানতে পারলে বিভিন্ন সময়ে কাউন্সেলিং বা আলাপচারিতার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এই নিয়ে তাদের মাঝে বিভিন্ন সময় বাগবিতন্ডাও সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত তার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ভিকটিমকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ভিকটিমকে হত্যার জন্য তার ব্যাগে ধারালো চাকু নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত রেজাউল গত ১০ আগস্ট ২০২২ তারিখ ভিকটিমকে তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্টে’ নামে একটি আবাসিক হোটেল নিয়ে যায়। ঐ অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থানকালে ভিকটিমের সাথে গ্রেফতারকৃতের বিভিন্ন নারীর সাথে সম্পর্ক নিয়ে কথা কাটাকাটি, বাগবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। এসময় গ্রেফতারকৃত রেজাউল তার ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর সে গোসল করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয় যাতে হত্যার কোন আলামত তার শরীরে দেখা না যায়। এসময়, সে ভিকটিমের মোবাইল ফোনও সঙ্গে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দরজার বাইরে থেকে সে রুমের তালা বন্ধ করে দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যে, সে হোটেল থেকে বেরিয়ে প্রথমে মালিবাগে তার বাসায় যায়। বাসা থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে একটি হাসপাতালে গিয়ে তার নিজের হাতের ক্ষত স্থান সেলাই করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। পরবর্র্তীতে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামে গিয়ে মুরাদপুরে আত্মগোপন করে। সেখান থেকে র‌্যাবের অভিযানে সে গ্রেফতার হয়।

গ্রেফতারকৃত রেজাউল ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে। এমবিএ চলাকালে সে একই বিশ^বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ইতোমধ্যে সে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালে জুন মাসে সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগদান করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com