নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সারা দেশের মানুষের ন্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারও আনন্দে উদ্বেলিত। চবি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘পদ্মা সেতুর আর্থ-সামাজিক প্রভাব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হৃদয় নিংড়ানো প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে ২৫ জুন। এতে পুরো বাংলাদেশের মানুষ মহাখুশি।
উপাচার্য বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় এ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এতে একদিকে যেমন দেশ-বিদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়বে অন্যদিকে ঐ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, অসীম সাহস, দূরদর্শী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা সর্বোপরি অটুট মনোবল এবং বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছেন। উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বাংলাদেশের ঈর্ষনীয় সাফল্যে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।