নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতি বছর হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ঈদ বখশিশের নামে মনের ইচ্ছে মতো চাঁদাবাজিতে মগ্ন সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ঈদ বখশিশের নামে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে। যেমন, শান্তিরহাট সড়ক, ধলই-বাড়বকুন্ড সড়ক, বংশাল, কাজীবাড়ী সড়ক, দরগা রাস্তা, মাহমুদাবাদ-নয়াহাট সড়ক, মাইজপাড়া সড়ক, পেশকার হাট, ঘুন্টি শাহ কিংবা খিল্লাপাড়া সড়ক, নাঙলমোড়া সড়ক, মোহাম্মদপুর সড়ক, আদর্শ গ্রাম সড়ক, মীরের খীল সড়ক, হাটহাজারী – ফটিকছড়ি – রাউজান মহাসড়ক, কৃষি ফার্ম রোড, মেখল রোড, মাদার্শা রোডসহ
হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে রাঙ্গামাটি রোডের ইছাপুর ফয়জিয়া বাজার ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ভাড়া ছিল মাথাপিছু ১০ টাকা কিন্তু দেখা যায় ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে ভাড়া বৃদ্ধি করে ১০ টাকার পরিবর্তে ২০ করে নিচ্ছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকায় দেখা যায় ফতেয়াবাদ থেকে মাদার্শা হাই স্কুল পর্যন্ত ঈদের আগে ভাড়া ছিল মাথাপিছু ২০ টাকা এখন সে ভাড়া বাড়িয়ে ৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এভাবে হাটহাজারীর প্রতিটা রোডে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা ডাবল ভাড়া নিচ্ছে।
সাধারণ যাত্রীরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা প্রতিটি যাত্রী থেকে হয়তো ৫ টাকা করে বেশি নিতে পারে কিন্তু এভাবে ডাবল ভাড়া নিলে আমরা সাধারণ যাত্রীরা কীভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করব।
যাত্রীরা বলেন, আমারও ওদের মত সাধারণ মানুষ আমরা যদি কোটিপতি হতাম তাহলে আমরা প্রাইভেট কার নিয়ে চলাফেরা করতাম ওরা যদি সেটা না বুঝে তাহলে কে বুঝবে? প্রশাসন কি এগুলো দেখে না? ঈদ বখশিশ কি আমাদের ইচ্ছে মত নাকি চালকদের মত? বিস্ময়কর ব্যাপার! জোর করে বখশিশ আদায় কেমন কথা!
সিএনজি চালকরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত ড্রাইভাররা বাড়তি বাড়া নিবে, ঈদের তৃতীয় দিনের পর থেকে আবার আগের মত ভাড়া নিবে অথচ এই ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে সিএনজি মালিকেরা কিছুই জানেন না।
এই বিষয়ে প্রশাসনের সুনজর কামনা করেন যাত্রী সাধারণ।