উপসম্পাদকীয়ঃ
তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকেরাই যাঁরা উপজেলা পর্যায়ে কাজ করেন তাঁরা সারাটাদিন কাটিয়ে দেন শুধু সংবাদের পিছনে বিনিময়ে কী পান?
প্রতিষ্ঠিত কিছু কিছু পত্রিকার তৃণমূলের সাংবাদিকেরা অল্প কিছু সম্মানী পেয়ে থাকেন আর কিছু কিছু পত্রিকা অফিসকে টাকা পাঠাতে হয় বলেও শোনা যায়।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর বিধবা ভাতা , প্রতিবন্ধী ভাতা , বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন , মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।সাংবাদিকেরা কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে কিনা জানা নাই।
তাঁদেরকে একটা মন্ত্রণালয়ের অধীনে অন্তর্ভূক্ত করে তালিকা করা দরকার অথবা সাংবাদিক কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠন করে তাঁদের দেখভাল করা দরকার বলে মনে হয় । তাঁরাও মানুষ , তাঁদেরও সংসার আছে তাই চাহিদাও আছে , শিক্ষা, চিকিৎসা সবই দরকার আছে। অন্যান্যদের মত নব বর্ষ, ঈদ ইত্যাদি উৎসব তাঁদের জীবনে আসে বার বার কিন্তু কি গান তাঁরা ? এটা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তাঁদের জন্য প্রস্তাবনাঃ
১) উপজেলাতে একটা অফিস বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা থাকা দরকার যেখানে সব সাংবাদিকেরা সংবাদ পরিবেশন, মিটিং , ছোটখাটো অনুষ্ঠান এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার তথা ভুক্তোভূগীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন ।
২) হাসপাতালে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা ।
৩) রেশন কার্ড , বিভিন্ন ফেস্টিবল বোনাস কার্ড প্রদান করা ।
৪) সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান ।
আতাউর রহমান মিয়া
সম্পাদক
দৈনিক হাটহাজারী নিউজ