নিজস্ব প্রতিবেদক: হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ইডেন নুর স্কুলের পাশে জসিমের ভাড়া ঘর থেকে নিখোঁজের ৮ দিন পরে শিশু ফাইজা আকতার হালিম (৮) নামে এক শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার (২০ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশু ফাইজা আকতার হালিমা ভোলা জেলার সদর বেলুমিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কাশেম মাঝির বাড়ির আকবর হোসেনের প্রথম কন্যা সন্তান। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার শিশু হালিমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই। থাকার কোন কারণও নেই। কেননা তার বাড়ি এখানে না। তবে অন্য কারণে এই শিশুকে হত্যা করা হয় বলে আমাদের ধারণা। যেখানে তার লাশ পাওয়া গেছে সেখানে আমরা কতবার দেখেছি। কোন কিছু ছিলো না। তবে এই এলাকাটি থানা থেকে বেশ দূরে হওয়ার কারণে সব ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়।
তারা আরও জানান, বেশ কিছু দিন আগে বাঁশখালীর এক যুবক নিহত শিশু ফাইজা আকতার হালিমার ছোট বোনকে ধর্ষণ করতে চেষ্টা করে। পরে জানা জানি হলে তার খালাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ধামাচাপা দেয়। এবারও সেই একই কাহিনি বলে তাদের ধারণা।
শিশু হালিমার বাবা আকবর বলেন, আমার মেয়ে কে ধর্ষণের পরে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, গত ১২ জানুয়ারী সকালে সে নিখোঁজ হয়। এরপর হাটহাজারী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছি। তারপরও মেয়ে কে জীবিত ফেলাম না।
শিশু হালিমার জেঠা জসিম বলেন, গত দেড় মাস পূর্বে হালিমা ও তার ছোট বোন মায়ের সাথে বড় খালার বাসা ১৪ নং শিকারপুর ইউপির পশ্চিম শিকারপুরস্থ ১ নং ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকার জসিমের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে। এর মধ্যে গত ১১ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিখোঁজ হয় আমার ছোট ভাই আকবর হোসেনের বড় মেয়ে ফাইজা আকতার হালিমা। এই দিন অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন সন্ধান না পেয়ে গত ১২ জানুয়ারী হাটহাজারী মডেল থানায় আমার ভাই একটি ডায়েরি করেন। আজ যেখানে আমার ভাতিজির লাশ পাওয়া গেছে সেখানে পুলিশ ও আমরা সবাই খুঁজেছি কিন্তু পায়নি। এখন ডাযেরি করার ৯ দিন পর উল্লেখিত স্থানে আমার ভাতিজির লাশ পাওয়া যায়।
হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার গোফরানুল হক বলেন, শিশু ফাইজা আকতার হালিম নামে শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। জঙ্গলের ঝোপে শিশুর গলিত লাশ উদ্ধারের সময় গায়ে কোন কিছু ছিল না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারকারী হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ এ শনিবার রাত ৮ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শনিবার রাত ১০ টার দিকে এ প্রতিবেদক কে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটা মার্ডার। তবে ময়নাতদন্তের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত তাদের নাম বলা যাচ্ছে না, পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে আর এ ঘটনায় মার্ডার মামলা করা হবে।