নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের উত্তর পাশে হাটহাজারীর উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ইছাপুর বাজারের পশ্চিমে কৃষি জমি ভরাট করে চারদিকে নির্মাণ করা দেয়াল ভেঙে দিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী ভুমি কমিশনার আবু রায়হান।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে দেয়াল ভেঙে দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতা করেন মডেল থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর শনিবার সকালের দিকে উল্লেখিত স্থানের চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহা-সড়কের ইছাপুর বাজারের পশ্চিমে রাস্তার উত্তর পাশের বিশাল আয়তনের কৃষি জমি বালি দিয়ে ভরাট করার সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউজ্জামান এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলে পাওয়া ভরাট কাজে জড়িত উপজেলার উত্তর মেখল এলাকার সামাদ আলী তালুকদার বাড়ির মনির আহমদের পুত্র ফখরুল ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই ভরাটকৃত বালি ওই জমি থেকে অপসারন করে জমিটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো আবু রায়হানও উপস্থিত ছিলেন। তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “কৃষি জমি সুরক্ষা ও নিরাপদ মহাসড়ক নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা রয়েছে। সে মোতাবেক হাটহাজারীতে বিভিন্ন সময় মাইকিং করা হয়েছে ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ওই অভিযানটিও তার অংশ এবং কৃষি জমি সুরক্ষা ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এই নির্দেশ দেয়ার ১ মাস ১৯ দিনের মাথায় সেই দন্ডিত ফখরুল ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পুনরায় সেই জমিতে ইট, বালি,লোহা,সিমেন্ট ব্যবহার করে আরসিসি পিলার তৈরী ও ভরাট কাজ শুরু করে। সেই কাজের নির্মাণ সামগ্রী হাটহাজারী-রাউজান আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর রাখার কারনে গত ৯ ডিসেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় ওই এলাকার গিয়াস চেয়ারম্যান বাড়ির অসহায় এক মহিলার একমাত্র সন্তান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতও হয়। ঘটনার পর পর ওই কৃষি জমিতে প্রাচীর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও নিহতকে দাফন করার পরদিন সকাল থেকে আবারও পুনরায় কাজ শুরু করে তারা।
চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার বাসার সামনে এমন নিয়মবহির্ভূত উপায়ে কৃষি জমি ভরাট ও প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরুর দিকে আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। তখন অভিযান করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভরাটকৃত বালি সরিয়ে ওই কৃষি জমিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আদেশ দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমান আদালত। এর পর আমি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখি সে দন্ডিত ব্যক্তি আদেশতো পালন করেননি উল্টো সেই কাজও চলমান রয়েছে। তাও আবার এসিল্যান্ড মহোদয় কে জানিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে আজকে সকাল আবারও এসিল্যান্ড মহোদয় অভিযান চালিয়ে নির্মিত দেয়াল ভেঙে দেয় এবং মালামাল জব্দ করে নিয়ে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার আবু রায়হান বলেন, কৃষি জমি ভরাট করে আবারও স্থাপনা নির্মাণ করার দায়ে মালামাল জব্দ করা হয়েছে এবং নির্মিত দেয়াল ভেঙে দেয়া হয়। এ ঘটনায় কৃষি আইনে একটি মামলা করা হবে।
বার্তা প্রেরক:
মো: মহিন উদ্দিন, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
০১৮১১-৫৭৭৯৫৬
mahimctg14bd@gmail.com