নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সাত বছরের শিশু’কে ধর্ষণ; মামলা রুজু হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম (৪৭)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, গত ১৮ অক্টোবর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধর্ষিত ভিকটিম শিশু (৭) তাদের বসত ঘরের সামনে খেলা করছিল। এসময় শফিকুল ইসলাম ভিকটিমকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে তার টেইলার্সের ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জবরদস্তি করতে থাকে। জবরদস্তির একপর্যায়ে ভিকটিমের আত্মচিৎকার শুনে টিউবওয়েল এর পাশে থাকা তার বড় বোন দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমের নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। ভিকটিমের নাম ধরে ডাকাডাকি করলে শফিকুল ইসলাম তার টেইলার্স ঘরের দরজা খুলে দিলে ভিকটিম ভীত হয়ে দৌড়ে এসে বোনকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন ভিকটিমের বড় বোন ভিকটিমকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা এবং পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটির কারণ জিজ্ঞাস করলে ভিকটিম জানায় শফিকুল ইসলাম তাকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে কোলের উপরে বসিয়ে ধর্ষণ করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১০/১৩৬ তাং ১৯ অক্টোবর ২০২৩; ধারা-৯(৪) (খ) নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব ফরহাদাবাদ এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৯ অক্টোবর রাত ১টার দিকে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৭), পিতাঃ- মোঃ আনছার আলী, সাং-হাফছড়ি, থানাঃ গুইমারা, জেলাঃ খাগড়াছড়ি বর্তমানে সাং-পূর্ব ফরহাদাবাদ, নাজিরহাট পৌরসভা, থানাঃ ফটিকছড়ি, জেলাঃ চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত মামলায় আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।