নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিএমপি পাহাড়তলী থানার অভিযানে চেতনানাশক ঔষধ সহ কুখ্যাত আন্তঃ জেলা অজ্ঞান পার্টি’র মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়।
পাহাড়তলী থানার এসআই মোঃ মনির হোসেন বলেন, গত ২১ আগস্ট বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটের সময় ফেনী থেকে জনৈক আবদুল্লাহ আল মামুন তার প্রয়োজনীয় কাজ শেষে ফেনী বাসস্ট্যান্ড থেকে সিডিএম বাস যোগে তার কর্মস্থল চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানাধীন বড়তাকিয়া বাজারে নামার জন্য উক্ত বাসের পিছনের সিটে বসেন। তখন একজন ডাব বিক্রেতা আসে। বাদির পানির পিপাসা লাগায় ডাব বিক্রেতার নিকট থেকে বিকাল অনুমান ৫টা ৩০ মিনিটের সময় একটি ডাব ৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে ডাবের পানি পান করেন। ডাবের পানি পান করার প্রায় ৫-৭ মিনিট পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ৪৫ মিনিটের সময় অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা বাদিকে অচেতন করে তার পকেটে থাকা মানিব্যাগ, মোবাইল, নগদ টাকা, ৩২টি এটিএম কার্ড চুরি করে নিয়ে গিয়ে পাহাড়তলী থানাধীন একে খান মোড়স্থ বন্দর ফিলিং স্টেশন এর সামনে পাকা রাস্তার উপর রেখে যায়। পরবর্তীতে বাদির পিতা তাকে বন্দর ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে ৪২ ঘন্টা পর বাদির জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফেরার পর বাদি ব্যাংকে গিয়ে দেখেন যে তার চোরাই যাওয়া ০২টি এটিএম কার্ড দিয়ে অজ্ঞান পার্টির চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ থেকে ১০,৫০,০০০/- টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
বাদির এরুপ অভিযোগের ভিত্তিতে সিএমপি পাহাড়তলী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাত পার্টির প্রধান মোঃ সোহাগ ঘরামী ও বিপ্লব চন্দ্র অধিকারীকে এবং পাথরঘাটা থানা এলাকা থেকে শাহাদাত হোসেনকে আটক করেন।
গ্রেফতারকালে তাদের হেফাজত থেকে চেতনানাশক ঘুমের ঔষধ রিবোট্রিল ২.০ এম.জি, ১০ গ্রাম চেতনানাশক পাউডার, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ০৩টি এবং চেতনানাশক ঔষধ ভাবের পানির সাথে প্রয়োগ করে ভিকটিমের এটিএম কার্ডের মাধ্যমে চোরাইকৃত নগদ ৯,৭৫০ টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন।
ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে তারা পলাতক অপর ব্যক্তিদের পরস্পর যোগ- সাজসে উচ্চ মাত্রার ঘুমের ঔষধ রিবোট্রিল ট্যাবলেট পাউডার করে ইনজেকশন সিরিঞ্জের সাহায্যে ডাবের পানিতে পুশ করে টার্গেট ভিকটিমের নিকট অপেক্ষাকৃত কমদামে উক্ত ঔষধ মিশ্রিত ডাব ভিকটিমের সামনে অক্ষত তাজা ডাব কেটে বিক্রী করে। তাদের টার্গেটকৃত ভিকটিম উক্ত ডাবের পানি পান করে কিছুক্ষনের মধ্যে গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে যায়। তখন উক্ত অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্যরা ভিকটিমের সর্বস্ব লুটে নেয়।