হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:
রাউজানে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাঠান পাড়া আশরাফ খান মাতব্বরের বাড়ি থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পরে ঘরের পেছনে টয়লেটের নালা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার।
[caption id="attachment_5689" align="alignnone" width="300"] হাটহাজারী নিউজ[/caption]
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ রোকসানা আকতার (২৮) ঐ বাড়ির আজমের (৪০) স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আনোয়ারা পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন, চুয়েট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরিফুর রহমান।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
নিহতের বোন তাহমিনা আকতার অভিযোগ করে বলেন, আমি শুক্রবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসি। এই সময় আমার বোন বলেছিলেন তার মামা শাশুড় ইছহাক, ননদ ফেরদৌসি আক্তার, ননদের স্বামী সোহেল প্রায় সময় নির্যাতন করেন, তারা সম্পত্তি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে চাই। আমি বোনকে সান্ত্বনা দিয়ে পরের দিন শহরে চাকরিতে ফিরে যায়।
[caption id="attachment_310" align="alignnone" width="212"] বিজ্ঞাপন[/caption]
তিনি বলেন, সোমবারে বোনের মোবাইলে বারবার ফোন দিয়ে সংযোগ না পেয়ে ননদের স্বামী সোহেলের নম্বরে ফোন দিলে তিনি বলেন আমার বোন পালিয়েছে। তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরের দিন মঙ্গলবারে আমরা বোনের বাড়িতে এলে মামা শাশুড়সহ স্থানীয় চারজন ছেলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাদের মারধর করেন। আমার বোন কোন পরপুরুষ সাথে পালিয়েছেন বলে নানান কটুকথা বলেন। আমাদের আটকে রাখেন।
[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, পরে স্থানীয় মেম্বার আমাদের উদ্ধার করলে আমি চলে যায়। পরের দিন আমার মামা সাদ্দাম হোসেন থানায় জিডি করেন। বৃহস্পতিবার পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার বোনের লাশ পাওয়া গেছে। আমার বোনের স্বামী সহজ সরল। তেমন কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। তাদের সম্পত্তি আত্মসাতের আমার বোনকে তার মামা শাশুড়, ননদ ও ননদের স্বামী মিলে হত্যা করেছে।
নিহতের ননদ ফেরদৌস আকতার বলেন, গত রবিবার আমার ভাবী নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ পেয়ে কদলপুর শাশুড় বাড়ি হতে এখানে আসি। বৃহস্পতিবার বিকালে টয়লেটে গেলে পাশের নালা হতে গন্ধ আসলে গিয়ে দেখি স্লেভের নিচে নালায় আমার ভাবির লাশ। পরে মামাসহ অন্যান্যদের মাধ্যমে মেম্বারকে ফোন দিলে পুলিশসহ এখানে আসেন। আমার ভাই মোহাম্মদ আজম এবং মা রিজিয়া বেগমকে পুলিশ নিয়ে গেছেন।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
চুয়েট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরিফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভিতরে বসত ঘরের পেছনে টয়লেট সংলগ্ন নালার একপাশে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই সময় নালা উপর হতে স্লেভ সরিয়ে দেখি নারীর গলিত লাশ। আমরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি। লাশের সুরতহাল নির্ণয়ের পরে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।