নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের গরু-ছাগলের বাজার জমে উঠেছে। কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন, তাই ক্রেতা সমাগমে সরগরম হয়ে উঠেছে গরুর বাজারে।
চলছে হাঁকডাক, দরদাম। নতুন ট্রেন্ড হিসেবে যোগ হয়েছে সেলফি উৎসব। বড় গরুর আশপাশে ভিড় বেশি হলেও কেনার ক্ষেত্রে চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি গরুর। গরুর দাম বৃদ্ধির জন্য বন্যা, গো-খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন বিক্রেতা ও হাট ইজারাদাররা।
শনিবার (৯ জুলাই) সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-মাঝারি ও বড় আকৃতির বাহারি গরু এসেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দুপুরের আগেই গরুতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে হাট। পশুর হাটগুলো ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নির্বিঘ্নে যাতায়াত ব্যবস্থা, জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন বসিয়েছে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বাজার কর্তৃপক্ষ।
বাজার আসা একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গরুর দাম বাড়তি। তবুও কোরবানির জন্য কয়েকটি বাজার ঘুরে পছন্দের গরু কিনতে হবে। গত কয়েকদিন একাধিক বাজারে গরু দাম জানা হয়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় আজই (শনিবার) কিনতে হবে গরু।
গরু বিক্রেতারা গণমাধ্যমকে বলেন, গরুর এত বেশি দাম নিতে পারছি না। তবে ১০টি গরুর মধ্যে ৮টি বিক্রি হয়েছে আর মাত্র দুটো গরু আছে। হয়তো সন্ধ্যার আগেই বিক্রি হয়ে যাবে। বাজারে গরুর দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। জিনিসপত্রের দামের কারণে গরুর দাম বেড়েছে। আমাদের বিক্রি সন্তুষ্টিজনক।
ইজারাদাররা বলেন, উপজেলার যত্রতত্রে গরুর বাজার বসার কারণে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের গরু উঠেনি। তবে প্রশাসন বাজারের ইজারা দেওয়ার আগে অনুমোদিত পশুরহাট ছাড়া আর কোন গরুর হাট বসানো যাবে না বললেও তা ইজারা নেওয়ার পরে আগের অবস্থায় চলে যায়। তাই বাজারের হাসিল উঠবে কি-না তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আজ তেমন গরু নেই। যা আছে তা বিক্রি হলে বেশি লোকসান গুনতে হবে না। আজ সকাল থেকে মোটামুটি গরু বিক্রি হচ্ছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব শর্মা বলেন, এখনো পর্যন্ত বাজারে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।