নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলার উখিয়া থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ২ লাখ ৩৮ হাজার পিস ইয়াবার চালানসহ ইয়াবা সম্রাট আলমগীর ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাত দুইটার দিকে তাদের কে আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন বালুখালী ছড়া ব্রীজ সংলগ্ন কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ ০২০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ আলমগীর (৩০), পিতা-মৃত ফরিদ আলম, সাং-জালিয়াপালং, থানা- উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ২। নজরুল মিয়া (২৬), পিতা-আলী মিয়া, সাং-আঞ্জুমান পারা, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার এবং ৩। মুক্তার আহমেদ (৪২), পিতা-আবদুল গফুর, সাং- পশ্চিম পালংখালী, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানো ও নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ০৩টি বস্তার ভিতর প্লাষ্টিক, রাবার ও পেপার দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ২,৩৮,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী মোঃ আলমগীর তার সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার এর বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পরিচয়ের সূত্র ধরে ইয়াবা ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করে তার একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। পরবর্তীতে তার ঐ সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে উখিয়া থানাধীন পালংখালী ইউপির বালুখালী এলাকার কিছু রাস্তা ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেট এর বড় চালান তার ও তার সহযোগীদের বসতবাড়িতে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রেখে তা ছোট ছোট চালান আকারে সরবরাহ করে থাকে। উক্ত সরবরাহ কাজে আসামি নজরল মিয়া ও মুক্তারসহ তার সিন্ডিকেট এর অন্যান্য আরো সদস্যরা সহযোগিতা করে থাকে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।