নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভায় ১২ ঘন্টার মধ্যে পৃথক ঘটনায় একজন গৃহবধূসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
শনিবার (১ জুলাই ) সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে নারী ও পুরুষসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পৌরসদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পূর্ব দেওয়ান নগর মফিজ চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ফাহিম (২৪) নামে এক অটোরিকশা চালকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করা যুবকের লাশ, একই ওয়ার্ডের শায়েস্তা খাঁ পাড়া এলাকার সড়ক ও জনপদ বিভাগ অফিস সংলগ্ন নবীদ আলী হাজি বাড়ির ছালে আহম্মদ ম্যানশন থেকে নুসরাত জাহান মুক্তা (২২) নামে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ এবং উপজেলার ফতেয়াবাদ বালুরটাল এলাকা থেকে সরওয়ার খান প্রকাশ মনু (৪৭) নামে এক পানের দোকানীর লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
মারা যাওয়া মনু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডস্থ ফতেয়াবাদ এলাকার মুল্লুক শাহ হাজী বাড়ির মৃত মা.সেকান্দর সওদাগরের পুত্রের।
তিনি পেশায় পান দোকানদার সরওয়ার খান শনিবার ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফতেয়াবাদের বালুরটাল এলাকায় যায়। স্থানীয় ছেলেরা ওখানে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে খেলতে গিয়ে সেখানে সরওয়ারকে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। এদিকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় সরওয়ার কে খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। এক পর্যায়ে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উল্লেখিত এলাকায় মুখে ফেনা বের হওয়া অচেতন অবস্থায় সরওয়ারকে পড়ে থাকতে দেখলে ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা সরোয়ার ফতেয়াবাদ স্কুল গেটের বিপরীত পাশে বড় ভাই মোহাম্মদ সেলিমের মুদি দোকানের সামনে পান বিক্রি করতেন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকায় পানের দোকানীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশটির শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এছাড়াও পৌরসভায় এক গৃহবধূ ও অটোরিকশা চালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাও হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে।