নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
হাসপাতালে ছটফট করছেন কলেজ ছাত্রী রাত্রি: দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাসের চালক, নিরবে প্রশাসন!

হাসপাতালে ছটফট করছেন কলেজ ছাত্রী রাত্রি: দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাসের চালক, নিরবে প্রশাসন!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছটফট করছেন নাজিরহাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রাত্রি দত্ত। আর অন্য দিকে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বেপরোয়া গতির বাসের চালক।

বিজ্ঞাপন

ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধ চলাচল, বাসের বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, সড়কে বিপজ্জনক বাঁক, চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব এবং মাদক সেবন করে যানবাহন চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নাজিরহাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী রাত্রি দত্ত এর ঘটনাটি হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার মানুষজনের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে।

মানবিক সাহায্যের আবেদন

এ সব চালকের বেপরোয়া মনোভাব ও গতির কারণে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত, গত রবিবারে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী উপজেলার শেষ প্রান্তে আর ফটিকছড়ির শুরুতে নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় বাস থেকে নামার সময় গাড়ি দ্রুত চালিয়ে যাওয়ায় কলেজ ছাত্রীর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনার শিকার হলেন কলেজ শিক্ষার্থী রাত্রি।

বিজ্ঞাপন

পা হারানো রাত্রি দত্ত এর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরি এলাকার।
এদিকে বেপরোয়া গতির বাসের চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করেন নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসাবে, দেশে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ। এর মধ্যে চালকের লাইসেন্স আছে ১৮ লাখ। অর্থাৎ বাকি ১৫ লাখ যানবাহন চলছে লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে। এ ছাড়া পেশাদার চালকদের মধ্যে অন্তত ২ লাখ চালক লাইসেন্স পেয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের চাহিদা মেনে, যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই।
এ ছাড়া দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির পরিমাণও অপ্রতুল।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সড়ক বিশেষজ্ঞগণ বলেন, দুর্ঘটনার কারণ থাকার পাশাপাশি রয়েছে এগুলো প্রতিরোধের উপায়ও আছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজন নির্দিষ্ট গতিসীমা বা নিয়ন্ত্রিত গতি, যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ চালক নিয়োগ, নিরাপদ ও প্রশস্ত রাস্তা, জনসচেতনতা, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ ও জনসাধারণ যাতে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করে, এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা।
তারা আরও বলেন, লাইসেন্স প্রদানে দুর্নীতি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কাজের সময় নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী-পথচারীদের ক্ষেত্রেও ট্রাফিক আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিটনেসবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো চাঁদার বিনিময়ে অদক্ষ চালক দিয়ে চালানো হয়। এসব অবৈধ গাড়ি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালক ও হেলপাররা মালিকের কাছ থেকে ট্রিপ অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায় এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com