এদিকে বেপরোয়া গতির বাসের চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করেন নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসাবে, দেশে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ। এর মধ্যে চালকের লাইসেন্স আছে ১৮ লাখ। অর্থাৎ বাকি ১৫ লাখ যানবাহন চলছে লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে। এ ছাড়া পেশাদার চালকদের মধ্যে অন্তত ২ লাখ চালক লাইসেন্স পেয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের চাহিদা মেনে, যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই।
এ ছাড়া দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির পরিমাণও অপ্রতুল।
বিজ্ঞাপন
সড়ক বিশেষজ্ঞগণ বলেন, দুর্ঘটনার কারণ থাকার পাশাপাশি রয়েছে এগুলো প্রতিরোধের উপায়ও আছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজন নির্দিষ্ট গতিসীমা বা নিয়ন্ত্রিত গতি, যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ চালক নিয়োগ, নিরাপদ ও প্রশস্ত রাস্তা, জনসচেতনতা, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ ও জনসাধারণ যাতে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করে, এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা।
তারা আরও বলেন, লাইসেন্স প্রদানে দুর্নীতি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কাজের সময় নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী-পথচারীদের ক্ষেত্রেও ট্রাফিক আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিটনেসবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো চাঁদার বিনিময়ে অদক্ষ চালক দিয়ে চালানো হয়। এসব অবৈধ গাড়ি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালক ও হেলপাররা মালিকের কাছ থেকে ট্রিপ অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায় এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।