নিজস্ব প্রতিবেদক:
দক্ষিন এশিয়ার প্রাকৃতিক মাছের প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামে পরিচিত হালদা নদীতে বছরের প্রথম নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
[caption id="attachment_6044" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বুধবার (১৭ মে) দুপুর থেকে হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত হলেই মা মাছের আনাগোনা দেখা যায়।
হালদা গবেষক ড শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদী বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের একটি গুরুত্বপূর্ণ জলজ বাস্তুতন্ত্র। এপ্রিল থেকে জুন মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমার তিথিতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতসহ পানির বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারের (পানির তাপমাত্রা, পানির স্রোত, পানির স্তর, তড়িৎ পরিবাহিতা, টারবিডিটি, দ্রবীভূত অক্সিজেন, পিএইচ ইত্যাদি) মিত্রস্ক্রিয়তায় হালদা নদীতে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রজননের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারসমুহ অনুকূলে না আসায় ইতোমধ্যে তিনটি জোঁ অতিক্রম হলেও এখনো হালদায় দেখা মিলছেনা কাঙ্ক্ষিত ডিমের।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
তবে গতকাল মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ মে থেকে শুরু হচ্ছে মা মাছের ডিম ছাড়ার চতুর্থ জোঁ (অমাবস্যার) যা ২১ মে পর্যন্ত চলবে। এই সময় বজ্রপাতসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হলে এবং পাহাড়ি ঢল নেমে আসলে কার্পজাতীয় মা মাছের ডিম ছাড়ার অধিক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনুকুল পরিবেশ না পেলে অর্থাৎ পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে পরবর্তী জুন মাসের পূর্ণিমার জোঁ ১ থেকে ৬ জুন অথবা সর্বশেষ ১৫ থেকে ২০ জুন অমাবস্যার জোঁ'তে কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়বে।