নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খন্দকিয়া এলাকার খন্দকার পাড়ায় নতুন লুঙ্গি পড়াকে কেন্দ্র করে দুই শিশু সন্তানের সামনে মা রিনা আক্তার (২৭) কে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করলো পাষাণ্ড বাবা বদিউল আলম সোহাগ (৩৮)।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাষাণ্ড স্বামী বদিউল আলম সোহাগকে আটক করে পুলিশ।
নিহত রিনা আক্তারের দুইটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
এদিকে আটককৃত পাষাণ্ড স্বামী সোহাগ পেশায় একজন অটোরিকশা চালক হলেও বছরে কয়েকবার মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেন বলে জানা গেছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে সোহাগ নতুন লুঙ্গি পড়ে বের হতে চাইলে তার স্ত্রী রিনা আক্তার তাকে বাধা প্রদান করে। এর জের ধরে রিনাকে গলা টিপে হত্যা করে তার স্বামী সোহাগ। ঘটনার পর বাড়ীর বিভিন্ন ঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে সোহাগ। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দেখে স্ত্রীকে হত্যা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে সোহাগ।
পাষাণ্ড স্বামী সোহাগ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার দাবি করলেও স্থানীয়রা তা অস্বীকার করছেন। তারা বলছেন সে হুশের পাগল। সে সবই বুঝতে পারে। নতুন লুঙ্গি পড়তে পারে। অটোরিকশা চালাতেন তখন কেউ তাকে টাকা কম দিলে নিতো না বরং বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতেন। তাই সে হুশের পাগল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফায়েল আহমদ বলেন, সোহাগ ছোটবেলা থেকে বছরের অধিকাংশ সময় পাগল থাকে। এপর্যন্ত সে তিনটি বিয়ে করে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। তৃতীয় স্ত্রীর সাথে সংসার চলাকালে প্রায়সময় বউকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো। আজকেও তার স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং সেইসাথে সোহাগকেও আটক করে নিয়ে যায়। তাদের মেয়ে দুইটিকে আমরা সামাজিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করবো।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ওই গৃহবধূকে মারধর ও গলাটিপে হত্যা করে এবং সেই সাথে তাদের এক মেয়েকেও গলাটিপে ধরেছিল। সে একটু উগ্রপন্তী।খবর পেয়ে থানার এসআই শরীফ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।