হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:

দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চেয়ে পোস্টার লাগানো সেই আলমগীর কবিরের চাকরির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

[caption id="attachment_310" align="alignnone" width="212"] বিজ্ঞাপন[/caption]

আলমগীর কবিরকে বগুড়ার স্বপ্ন আউটলেটে চাকরি দেয়া হবে বলে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানান।তবে কোন পদে আলমগীরের চাকরি হচ্ছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]

এর আগে বগুড়া শহরে শিক্ষিত এক যুবকের খাদ্যের জন্য হাহাকারের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপনের ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিতে দেখা যায়, শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই”। বিজ্ঞাপনটি ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই এই যুবকের সন্ধান চান।

[caption id="attachment_883" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]

জানা গেছে, বিজ্ঞাপনদাতা মো. আলমগীর কবির নামের এক যুবক। তিনি থাকছেন বগুড়া শহরে। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেছেন।

[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]

২০২০ সালে স্নাতকোত্তর পাসের পর থেকে চাকরি খুঁজছেন তিনি। কিন্তু এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী চাকরি পাননি। তাই পেশায় ‘বেকার’ উল্লেখ করে বগুড়া শহরের জহুরুলনগরের আশেপাশের এলাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গণিত ছাড়া সব বিষয় পড়ানোর জন্য তিনি বিজ্ঞাপনটি দেন। সাদা কাগজে কালো কালিতে প্রিন্ট করা বিজ্ঞাপনটি দেখা যায় বগুড়া শহরের বিভিন্ন দেয়ালে ও ইলেকট্রিক খুঁটিতে। সেখানে তিনি লেখেন, পড়ানোর বিনিময়ে কোনো অর্থ চান না। তাকে সকাল ও দুপুর দুবেলা ভাত খাওয়ালেই হবে।

[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]

এমন বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়ে মো. আলমগীর কবির বলেন, মূলত খাবারের কষ্ট থেকেই বিজ্ঞাপন দিয়েছি। এই মুহূর্তে আমার একটি টিউশনি আছে। সেখানে রাতে পড়াই। তারা আগে নাস্তা দিত। পরে আমি তাদের বলেছি নাস্তার বদলে ভাত খাওয়াতে। কিন্তু রাতে খাবারের সংস্থান হলেও সকাল আর দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা ছিল না।

মো. আলমগীর কবির আরও বলেন, আমি টিউশনি করে পাই দেড় হাজার টাকা, সেটা দিয়ে হাতখরচ, খাবার, চাকরির পরীক্ষা দিতে যাওয়া—সব কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না। সেজন্য আমি যেখানে থাকি তার আশোপাশে টিউশনি খুঁজছি, যেখানে আমার অন্তত দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায়।