নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালির চিরায়ত প্রাণের উৎসব। এ উৎসবে সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষ ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
তিনি বলেন, সম্প্রীতির অটুট বন্ধন অধিকতর সুদৃঢ় করে বাঙালির এ প্রাণের উৎসব। দেশীয় কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য বাঙালির মূল প্রাণস্পন্দন।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করা হয়েছে।
[caption id="attachment_883" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
কর্মসূচির মধ্যে ছিল বৈশাখী শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বলী খেলা, বউচি খেলা, মোরগ লড়াই ইত্যাদি।
[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বেলা ১১:৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ‘স্মরণ’ চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রা শেষে বর্ষবরণ মূল মঞ্চে (উন্মুক্ত মঞ্চ) অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সূচিত হয়।
অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির আহবায়ক চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বৈশাখী উৎসবের সমাপনী বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষের এ দিনে অতীতের সকল জীর্ণতা, ক্লান্তি, জঞ্জাল দূরীভূত হয়ে সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি।
[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]
উপাচার্য বৈশাখের এ মহামিলন উৎসবে সকলকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অন্ধকারের সকল অপশক্তিকে পদদলিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় আত্মনিয়োগের আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে মাননীয় উপাচার্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী আয়োজনসমূহে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
[caption id="attachment_2711" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বৈশাখী অনুষ্ঠানমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদ সমূহের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, হলসমূহের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।