নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম শহর ও তার আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করা হয়।
এ সময় চোরাই ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
[caption id="attachment_8065" align="alignnone" width="300"] চোরাই ২৪টি মোটরসাইকেল[/caption]
উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল গুলো হল:
১। ১টি লাল রংয়ের HERO HONDA Splendor,
২। ১টি নীল রংয়ের পালসার (BAJAJ) মোটরসাইকেল,
৩। ১টি লাল কালো রংয়ের BAJAJ PULSAR,
৪। ১টি BAJAJ Platina,
৫। ১টি লাল BAJAJ Discover 100,
৬। ১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 100,
৭। ১টি কালো নীল রংয়ের HERO Glamour মোটরসাইকেল,
৮। ১টি কালো লাল রংয়ের HERO Ignitor,
৯। ১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 125,
১০। ১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 110,
১১। ১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 110,
১২। ১টি লাল রংয়ের WALTON FUSION,
১৩। ১টি কালো লাল HERO Passion Pro,
১৪। ১টি কালো লাল রংয়ের HERO Glamour,
১৫। ১টি কালো নীল TVS Metro,
১৬। ১টি কালো সাদা লাল TVS Metro,
১৭। ০১টি BAJAJ Platina,
১৮। ০১টি কালো লাল রংয়ের RUNNER ROYAL FREEDOM,
১৯। ০১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ PULSAR,
২০। ০১টি কালো লাল রংয়ের HERO Glamour,
২১। ০১টি নীল রংয়ের SUZUKI Gixer মোটরসাইকেল,
২২। ১টি কালো নীল রংয়ের HERO Glamour,
২৩। ১টি কালো-লাল রংয়ের HERO Splendor I-Smart
২৪। ০১টি কালো লাল রংয়ের Honda Shine Sp মোটরসাইকেল।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) জানান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, পিপিএম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্ত্তী ও অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠ রাস্তার উপর থেকে গত শনিবার ২৫ মার্চ সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটের সময় চোরচক্রের দুইজন মূলহোতা মিঠন ধর ও মোঃ বাবর প্রঃ বাবুলকে একটি চোরাই Hero Honda Splendor মোটরসাইকেল সহ আটক করা হয়।
তিনি জানান, পরবর্তীতে মিঠন ধর ও বাবর প্রঃ বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তাদের অপরাপর সহযোগী মোঃ শাহেদ (২৬), মোঃ রিপন (৪০), মোঃ খোরশেদ আলম (২৯), মোঃ দিদার হোসেন (৩০), মোঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ তাহের (৩০)'এর সহায়তায় চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশ এলাকা থেকে চুরিকৃত মোটরসাইকেল চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ ও কক্সবাজার জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেচা-বিক্রি করে থাকে।
তিনি বলেন, আসামি মিঠন ধর ও মোঃ বাবর প্রঃ বাবুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের সহযোগী মোঃ শাহেদ ও মোঃ রিপনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে ২৩ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারপূর্বক ২৫ মার্চ জব্দ করা হয়। তাদের অপর সহযোগী মোঃ দিদার হোসেন (৩০) ও মোঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ তাহের (৩০) ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আসামি মিঠন ধরের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক আসামি মোঃ খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালী থানাধীন ব্রিজঘাট এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনায় ২৬ মার্চ দুপুর ১টার সময় কোতোয়ালী থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী একটি মামলা রুজু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ধৃত আসামিরা মোটরসাইকেল চুরিচক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য যে, পর্যালোচনায় জানা যায় ধৃত আসামি মিঠন ধরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় ৩টি চুরির মামলা আছে। ধৃত আসামি বাবর প্রকাশ বাবুলের বিরুদ্ধে সিএমপি'র কোতোয়ালী ও খুলশী থানায় ২টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে। ধৃত আসামি খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় মোটরসাইকেল চুরির ১টি মামলা আছে।