নিজস্ব প্রতিবেদক:
যাত্রাপথে গোপালগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর সাথে আইনজীবীর পরিচয় হয়। তখনই আইনজীবীর ছেলে কে পড়ানোর কথা বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামী আইনজীবী আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব ৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, গত ৩/৪ মাস পূর্বে যাত্রাপথে আসামীর সাথে ভিকটিমের গণপরিবহনে পরিচয় হয় এবং বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ানোর জন্য আসামী ভিকটিমের মোবাইল নম্বর নিয়ে নেয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকালে টিউশনি দেওয়ার কথা বলে ভিকিটিমকে আসামী তার পাচুরিয়া এলাকার বাসায় ডাকে। ভিকটিম সরল মনে আসামীর বাসায় গিয়ে আসামী ব্যতিত অন্য কোন সদস্যকে দেখতে না পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন। তখন আসামী বিভিন্ন ধরণের কথা বলার একপর্যায়ে তাকে প্রলুব্ধ করে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ভিকটিম আসামীর হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আসামীকে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে রুমের বাহিরে গিয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ভিকটিম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে নিকট বিস্তারিত ঘটনা অবহিতসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ জেলায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রী কর্তৃক ১২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধনের মাধ্যমে অভিযুক্ত আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও শাস্তি নিশ্চিতকরণের জোড় দাবি জানায়। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং আভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি র্যাব-৩, ঢাকার একটি আভিযানিক দল একই তারিখ বিকেলে ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার একমাত্র আসামী আইনজীবী আলমগীর হোসেন(৪৫), সাং-সামসুল হক রোড, থানা-গোপালগঞ্জ সদর, জেলা-গোপালগঞ্জকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।