নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উত্তর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন মির্জাপুর বৌদ্ধ রুপায়ন সংঘ দিনটি উদযাপন উপলক্ষে ২৫৬৬ তম বুদ্ধ জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে।
[caption id="attachment_2711" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
মির্জাপুর শান্তিধাম বিহার প্রাঙ্গনে ১৪ ও ১৫ মে দুই দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয় ।
[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বৌমির্জাপুরদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহান বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত এই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পৃথিবীর অদ্বিতীয় মহামানব ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ এই পূর্ণিমা তিথিতে নেপালের লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ, ভারতের বুদ্ধগয়ায় বুদ্ধত্ব লাভ এবং কুশিনারায় মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। প্রতিবছর জাতিসংঘসহ পৃথিবীর তাবৎ বুদ্ধ প্রতিরুপ দেশসমূহে দিনটি যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হয় যা ভেসাক ডে হিসেবেও পরিচিত।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
অনুষ্ঠান মালার মধ্যে বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা, গৌতম বুদ্ধের মুখঃনিসৃত বাণী তথা সূত্রপাঠ, অষ্টবিংশতি বুদ্ধ পূজা এবং লাভীশ্রেষ্ঠ সীবলী পূজা ও অর্হৎ উপগুপ্ত পূজা, বন্দনা প্রতিযোগিতা ছিল অন্যতম আকর্ষণ।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ ও আলোচকবৃন্দ মৈত্রী ও অহিংসার মূর্ত প্রতীক গৌতম বুদ্ধের অহিংসার মর্মবাণী সবার মাঝে ধারণ করার আহ্বান জানান। কোভিড মহামারীর পর চলমান ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর এই ক্রান্তিলগ্নে গৌতম বুদ্ধের ক্ষমা, মৈত্রী ও করুণার অনুশীলনের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। অত্র অঞ্চলের ধার্মিক উপাসক উপাসিকাসহ, সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে দুই দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন হয়।
[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি সনজয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর শান্তিধাম বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপন কান্তি চৌধুরী, মির্জাপুর বৌদ্ধ রুপায়ণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক জীবন বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কমলেন্দু চৌধুরী,বিহার কমিটির সহ-সভাপতি মিলন বড়ুয়া এবং যুগ্ম সম্পাদক অমিয় বড়ুয়া।