নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভেজাল বিরোধী অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল মসলা তৈরি করে বাজারজাত করার অপরাধে বাকলিয়া হতে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলাসহ ১০ জন ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব-৭।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চাকতাই এলাকার জসিমের ক্রাসিং মিল থেকে তাদের কে আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন চাকতাই এলাকার জসিমের ক্রাসিং মিলের ভিতর ভেজাল মশলা তৈরী ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৩ মে সকাল ১১টা ১০ মিনিটের দিকে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন (৪০) (মিলের মালিক), ২। মোঃ শরীফ হোসেন (৪০), ৩। মোঃ আলাউদ্দিন (৩৬), ৪। মোঃ জিলানী (২০), ৫। মোঃ সুজন (১৯), ৬। মোঃ সাইদুল (২০), ৭। আবদুল কাদের (৩৮), ৮। মোঃ সজল (৪৩), ৯। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৮), এবং ১০। মোঃ কামরুল হাসান (২৫) সহ সর্বমোট ১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃর্ত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদসহ উক্ত মশলা মিল ঘরের ভিতর তল্লাশী করে ভেজাল রং মিশ্রিত প্রায় ৬০০ কেজি হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুড়া এবং ১২ কেজি ভেজাল রং ও রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অসৎ উপায় অবলম্বন করে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের মশলাসহ মরিচের গুঁড়ার সাথে বিভিন্ন রং ও রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন করতঃ ভেজাল মশলা তৈরী করে এবং এই সব ভেজাল মশলা চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে ।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।