হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ আর অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। বিদেশি ফার্মকে কোটি কোটি ডলার তারা পেমেন্ট করল— এই অর্থ কীভাবে বিদেশে গেল? এটি কোথা থেকে এলো তার জবাব দিতে হবে। এর ব্যাখ্যা তাদের দিতে হবে।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অধিবেশনের সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যাখ্যা চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি তো বৈদেশিক মুদ্রা। বিএনপি এই বৈদেশিক মুদ্রা কোথা থেকে পেয়েছে? কীভাবে খরচ করেছে? লবিস্ট নিয়োগ কিসের জন্য? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর জন্য। নির্বাচন বানচাল করার জন্য। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। জঙ্গিবাদকে রক্ষা করার জন্য। জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাধা দেওয়ার জন্য। কোনো ভালো কাজের জন্য নয় লবিস্ট নিয়োগ নয়।’
[caption id="attachment_1422" align="alignnone" width="233"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সরকারের লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। সবসময় পিআর ফার্ম নেওয়া হয়। যেন বিনিয়োগ বাড়ে, উৎপাদন বাড়ে। আমরা যেন বিদেশে বেশি রফতানি করতে পারি তার জন্য। দেশের অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য এ সব করা হয়। কিন্তু বিএনপির কাজটি কী ছিল?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের র্যাবের কিছু অফিসারের বিরুদ্ধে আমেরিকা স্যাঙ্কশন দিয়েছে। যদি বলি কাদের ওপর? এখন আমাদের বর্তমান আইজিপি, তখন র্যাবের ডিজি ছিলেন। হোলি আর্টিজানে যখন সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। মানুষ হত্যা করে। নৃশংস দৃশ্য! তারা কেবল হত্যাই করেনি, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মানুষ মেরেছে। হত্যার পরে বাবুর্চিকে জিম্মি করে বড় বড় চিংড়ি মাছ থেকে শুরু করে সব রান্না করে খেয়েছে। কী রকম বিকৃতমনা ছিল তারা। পুলিশের দুইজন অফিসার সেখানে ছুটে গেলে তাদের গুলি করে মেরে ফেলে। আমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার পদক্ষেপ নিই। সেই সময় আমেরিকার যিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি টুইট করেছিলেন— হলি আর্টিজেনের সন্ত্রাসী হামলা বাংলাদেশ একা সমাধান করতে পারবে না। ওইদিন রোজার দিন ছিলো।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সারারাত আমরা কাজ করেছি। সেহেরির সময় পর্যন্ত আমি বৈঠক করি। সবাইকে নিয়ে মিটিং করি। কী করা হবে। কীভাবে অপারেশন চালানো হবে। তার পূর্ণ পরিকল্পনা করেছি। পরের দিন সকাল ৯টার মধ্যে জিম্মিদের উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সফলতার সঙ্গে তাদের আক্রমণ মোকাবিলা করি। এরপরপরই আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর টুইটটি সরিয়ে ফেলেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আর সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটতে পারেনি।(নিউজ সংগৃহীত)