নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের বড়দিঘীর পাড় মোড়ে প্রকাশ্যে নারীদের গায়ে হাত দেন ছবির এই যুবক যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা তুলে ধরে কমেন্টস করতে দেখা যায়।
জিহাদ চৌধুরী নামের একজনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তুলে ধরেন ঘটনার চিত্র। আমাদের দর্শকদের জন্য তার স্ট্যাটাস হুবুহু কপি করে তুলে ধরলাম:
বড়দিঘীর পাড়ে যে নারী হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে সচেতনতামূলক পোস্ট:
আজকে আমরা হাটহাজারী থেকে শহরগামী সিএনজিতে উঠি। সকাল এগারোটার দিকে বড়দিঘীর পাড় মোড়ে জ্যামে পড়ি। জ্যাম ক্রস করে যখন সিএনজি গতি বাড়াচ্ছিলো তখন রাস্তার পশ্চিমপাশ থেকে পার হতে যাওয়া একজন পথচারী সিএনজির ডান পাশে বসা মহিলা যাত্রীর বুকে থাবা দেয়(ছবির প্রথম লোকটা)। থাবা দিয়ে মোড়ের পূর্ব পাশের সিএনজি স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের একটা অফিসের পেছন দিক থেকে লোকটাকে ধরে ফেলি। ধরার পর আমি এবং সিএনজিতে থাকা সহযাত্রী ছোটভাই মিলে কিল-ঘুষি দিতে দেখে এলাকার মানুষজন জড়ো হয়। আমি বলেছিলাম তাকে ধরে আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিব।
কিন্তু এলাকার লোকজন সবাই মিলে এমন এক অপরাধীর পক্ষ নিতে শুরু করে এবং আমাদেরকে আটকিয়ে ভার্সিটির বাসে লোকটাকে তুলতে দেয়নি। তারা বলেন যে ওখানে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সমাধান করতে এবং লোকটাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে। এটা বলে আমাদেরকে একটা দোকানে ঢুকিয়ে লোকটা দোকানের ভেতরে আটকে রাখবে বলে ছেড়ে দেয় আমার হাত থেকে। পরক্ষণেই তারা লোকটিকে দোকানের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বের করে দেয়। এবং কিছু মানুষ উলটো আমার উপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে।
২য় ছবির ভাইটি আমার প্রতি বারবার আক্রমণ করার চেষ্টা করতেছিলো। নিশ্চয়ই উনারও বাসায় মা-বোন-স্ত্রী আছে। জানি না তার পরিবারের কারো সাথে এমন করলে উনি কী করবেন।
আমি কমেন্টে সবকিছুর ভিডিও দিব।
বড়দিঘীর পার এলাকার ছাত্র এবং এলাকার সুবিবেচক মানুদের প্রতি বিচার দিলাম। আপনারা এই দুজনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন। আজকে আমার পরিবারের সাথে হয়েছে, আগামীকাল আপনার পরিবারের সাথেও হবে। বরং আপনার পরিবারের সাথে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আরো বেশি। আপনারা পারলে কালকের মধ্যেই কিছু করেন। দেশের পরিস্থিতি নিশ্চয়ই দেখতেছেন। এমন মানুষকে ছাড় দিতে দিতেই ধর্ষণ কী পরিমাণে বেড়ে গেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। দিনের ১১টার সময়ে শালীন পোশাক পরা একজন মেয়ের সাথে যদি এমন হয়, এলাকায় থাকা এমন পটেনশিয়াল ধর্ষকরা এলাকার মেদের সাথে কী করতে পারে একবার ভেবে দেখবেন।
আপনারা কিছু করে দেখাবেন আশা করি।
আসসালামু আলাইকুম।
প্লীজ এপ্রোভ করবেন।