নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড উদালিয়া গ্রামের পশ্চিমে বড়বিল এলাকা বিরোধপূর্ণ ঠিলাভুমি সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া তালুকদার আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত করে রাখেন। সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঠিলাভুমি রাতের আঁধার জাকির হোসেন মানিক নামে এক ব্যক্তি অমান্য করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর মিয়া উদালিয়া গ্রামের পশ্চিমে বড়বিল এলাকার প্রায় ৫ একর পাহাড়ি জায়গায় লিখিত ও অনুমোদিত করে প্রয়াত নুরুল আলম নামে এক ব্যক্তির কাছে দেকভাল করার জন্য রাখেন। তিনি অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে ১০/১৫ বছর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর মিয়ার কাছে আমানত রাখা ঠিলাভুমি বুঝিয়ে দেন। এরপর বনবিভাগের সৃজিত বনায়নের কাজ করছিলেন স্থানীয় ওবায়দুল আকবর নামে এক ব্যক্তি তাদের অগোচরে জঙ্গল কেটে রাতারাতি গাছের চারা রোপণ করে। তারপর তাকে চারা রোপণে বাঁধা দিলে তিনি হাটহাজারী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর মডেল থানার পুলিশ তদন্তে এসে চারা রোপণকৃত ঠিলাভুমির কিছু অংশ তাকে দিতে অনুরোধ করলে কিছু অংশ দেয়। তারপর উভয় পক্ষ নিজ নিজ অংশ রক্ষণাবেক্ষণা করে আসছি।
[caption id="attachment_4872" align="alignnone" width="150"] বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের জায়গা দখলের অভিযোগ[/caption]
এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সৃজিত বাগানে কিছু আগাছা কেটে পরিষ্কার করতে স্থানীয় মান্নান চৌধুরীকে বলেন। তিনি উক্ত আগাছা গুলো কাটতে জাকির হোসেন মানিক নামে এক ব্যক্তি কে দায়িত্ব দেন। যা ভুক্তভোগী পরিবার মোটেও অবগত নন। এরপর জাকির হোসেন মানিক জোর করে তারদলবল নিয়ে অস্ত্র ও দা, ছুরি দিয়ে শোডাউন করে গাছের চারা রোপণ করে। তারপর আমরা বাঁধা দিলে তারা বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়। এমন অবস্থায় আমরা ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া তালুকদার কে অবহিত করলে তিনি তখন জাকির হোসেন কে উক্ত ঠিলাভুমিতে না উঠার নির্দেশনা জারি করেছেন। তখনই তিনি উক্ত জায়গা অসহায়দের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় রাস্তা বানান। এরপর দীর্ঘদিন জাকির হোসেন মানিক তার ধারে কাছে ভিড়তে পারেনি। ইতিমধ্যে ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকতুল আলম শওকত। সবার নিরবতা দেখে সে ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নির্দেশনা অমান্য করে আবারও জোর পূর্বক রাতের আঁধারে জঙ্গল কেটে রাতারাতি চারাগাছ রোপণ করতে পায়তারা শুরু করে। তারপর আবারও তাকে বাধা দিলে সে মামলা ও হামলার হুমকি দেয় বলে ভুক্তভোগী পরিবার।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হাবিবুর রহমান জানান, ইউনিয়ন পরিষদের একুয়োর করা জায়গা দখলের পাশাপাশি আমার জায়গাও সে দখল করে নেন। সে ইউনিয়ন পরিষদের আইন অমান্য করে জোর পূর্বক রাতের আঁধারে জঙ্গল কেটে চারাগাছ রোপণ করতে নিয়ে চারদিকে এলোমেলো করে চারাগুলো ছড়িয়ে দেয়। এমন ভুমিদূস্য জাকির হোসেন মানিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সুনজর কামনা করছি।
[caption id="attachment_310" align="alignnone" width="212"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া তালুকদার বলেন, উক্ত জায়গাগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা সমুহ কেউ দখল করার সুযোগ নেই।
[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]
ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকতুল আলম শওকত বলেন, আমি এখনও কিছু জানি না। তবে ঘটনা শুনেছি। তাই উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বারকে বলেছি উভয় পক্ষ কে ডেকে বিষয়টি আমরা মিমাংসা করব।