নিজস্ব প্রতিবেদক: হাটহাজারীতে ডেলিভারি করতে গিয়ে মাথা কেটে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালের দিকে ভুক্তভোগী মো.মহিউদ্দিন এ অভিযোগ দেন। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ফতেয়াবাদস্থ “ফতেয়াবাদ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে” ডেলিভারি করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নবজাতক হাটহাজারী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব দেওয়ান নগরস্থ কালাচান ফকির বাড়ির মহিউদ্দিন ও সাদিয়া দম্পতির সন্তান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভিকটিম সাদিয়া আকতার (২০) কে ডেলিভারি সক্রান্ত বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাই। এসময় ক্লিনিকে পক্ষ থেকে বলা হয় রোগীর অবস্থা ভালো আছে এবং ডেলিভারিও নরমাল হবে। তাদের এমন কথা বিশ্বাস করে ভিকটিমদের স্বজনরা অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে বেলা আনুমানিক ৪ টার দিকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরিচয় দেয়া ডা. সাবরিনা জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ। পরে মাগরিবের পর ওই ডাক্তার ও সহকারীগণ জানান, বাচ্চাটা মারা গেছে। এমন অবস্থায় বাচ্চার লাশ দেখতে চাইলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাশ দেখতে বাধা দেন। পরে স্বজনরা জোর করে প্যাকেট খুললে দেখা যায় মাথার বাম পাশে থেতলানো রক্তাক্ত। লাশের এমন অবস্থা এবং মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক পরিচয় দেয়া ডা. সাবরিনা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ও অবহেলাজনিত কারনে তারা ওই নবজাতক কে হত্যা করেছে।
ভিকটিমের স্বামী মহিউদ্দিন এবং ভাগিনা রাকিব চৌধুরী জয় জানান, এ ঘটনায় আমরা হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা অভিযোগ না নিয়ে সিভিল সার্জেন বরাবরে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো, এতে যদি চিকিৎসকের অবহেলা বা দোষী হন তবে সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বলেন, এ বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তদন্ত করছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, নরমাল ডেলিভারীর ঘটনা নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে ইউএনও ও জেলা সিভিল সার্জন যে তদন্ত কমিটি করবে এবং যে তদন্ত প্রতিবেদনে যে তথ্য পাওয়া যাবে তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।