নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একটি মসজিদে পুলিশি পাহারায় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

[caption id="attachment_2711" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]

আজ ৩ জুন (শুক্রবার) উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের ঢালকাটা গ্রামের মেহের আলী জামে মসজিদে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ব্যাপক পুলিশ পাহারায় মুসল্লিদে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। মূলত: মসজিদের 'দখলদারিত্ব' নিয়ে দু' পক্ষের বিরোধে সংঘাতের আশংকায় পুলিশ পাহারায় জুমার নামাজ আদায় হয়।

[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]

জানা যায়, বিগত ৪ বছর ধরে শতবর্ষী এ মসজিদের দখলদারিত্ব নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগও দায়ের করেন দু'পক্ষ। মিলাদ-কিয়াম পড়া না পড়া নিয়ে সর্বশেষ গত ২৭ মে জুম'আর নামাজের পর দু'পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]

পরে বিরোধ মেটাতে অস্থায়ী ভিত্তিতে খতিব নিয়োগ দিয়ে নামাজ আদাযের ব্যাবস্থা করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ৩ জুন প্রশাসন কতৃক নিয়োগকৃত খতিবের মাধ্যমে জুমার নামাজ আদায় হয়।

[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]

এছাড়াও বিরোধ মেটাতে সম্প্রতি প্রশাসনের ৫টি সীদ্ধান্ত মেনে নিয়ে উভয় পক্ষের সাক্ষর করে একটি প্রাথমিক সমঝোতা হয়। সমঝোতায় সুন্নী মতাদর্শীদের বছরে ৫দিন; তথা শবে মেরাজ, আশুরা, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ও শবেবরাতে মসজিদের বারান্দায় মাইক বিহীন সীমিত শব্দে মিলাদ ও কিয়াম করার অনুমতি সহ মোট পাঁচ সীদ্ধান্ত দিয়ে প্রশাসন থেকে প্রাথমিক সমঝোতা করা হয়। এতে কওমী ও সুন্নী মতাদর্শের পাঁচজন করে মোট ১০জন স্বাক্ষর করেন।