নিজস্ব প্রতিবেদক: মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন কে আটক করে র্যাব ৭।
[caption id="attachment_6044" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাদের কে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মোঃ ইলিয়াস (৪২), ইমরান হোসেন রাসেল (২৪), মীর এরফানুল হক মারুফ (২৩), এবং গিয়াস উদ্দিন (২৮) (সিএনজি ড্রাইভার)।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে একটি সিএনজি যোগে বাঁশখালী হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ শনিবার ১৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে।
এ সময় একটি সিএনজি তল্লাশী করে আসামী ০১। মোঃ ইলিয়াস (৪৫), পিতা- মৃতঃ কবির আহমদ, সা- কুদ্দগহিরা, পো- দোভাষীবাজার, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, ০২। ইমরান হোসেন রাসেল (২৪), পিতা- জানে আলম, সাং- কুদ্দগহিরা, পোঃ দোভাষীবাজার, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, ০৩। মীর এরফানুল হক মারুফ (২৩), পিতা- মীর মাহমুদুল হক, গ্রাম- দৌলতপুর, ফাজিলখারহাট, থানা- কর্ণফুলি, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ০৪। গিয়াস উদ্দিন (২৮) (সিএনজি ড্রাইভার), পিতা- মৃত আজিজুর রহমান, সাং- ফরিংকাইন, পোঃ বুথপুরা বাজার, থানা- ফটিকছড়ি, জেলা- চট্টগ্রাম’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
[caption id="attachment_5689" align="alignnone" width="300"] হাটহাজারী নিউজ[/caption]
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে আটককৃত আসামী মোঃ ইলিয়াসের কাধে থাকা একটি ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ইট সাদৃস্য স্কচটেপ ও কাগজ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহিত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে আসামীদ্বয় একে অপরের যোগসাজশে অধিক লাভের আশায় চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা।
[caption id="attachment_6214" align="alignnone" width="296"] আটককৃত প্রাইভেট সিএনজি ও এক লাখ পিস ইয়াবা[/caption]
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।