নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গেটের সামনে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পাষাণ্ড ঘাতক কিশোর গ্যাংয়ের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল মাসুম ও সজীবের।
গত সোমবার (৮ মে) মধ্যে রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করা হয়।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য কে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রবিউল কর্তৃক বিজ্ঞ আদালতে সিআরপিসি ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান।
পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, গত ৮ মে সন্ধ্যা অনুমান ৭টার সময় নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গেটের সামনে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে জনৈক সিরাজুল ইসলাম শিহাবের সাথে তার পূর্ব পরিচিত রবিউল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। উক্ত কথা কাটাকাটির জেরে বিটাক মোড়ে তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে একই দিন রাত অনুমান ৮টা ১০ মিনিটের সময় নিজেদের মধ্যে মীমাংসার জন্য সবাই পাহাড়তলী থানাধীন বিটাক গলিতে দাঁড়িয়ে কথা বলা অবস্থায় হঠাৎ করে পিছন থেকে কয়েকজন মাসুম ও সজীবকে ছুরিকাঘাত করে। উক্ত ছুরিকাঘাতে তারা গুরুতর আহত হলে তাদেরকে লোকজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মাসুম ও সজীবকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিম মোঃ মাসুম এর ভাই মনির হোসেন বাদি হয়ে সিএমপি পাহাড়তলী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক-নির্দেশনায় পাহাড়তলী থানার একাধিক টিম পাহাড়তলী থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত পূর্বনাম-কার্তিক বনিক বর্তমান নাম-আব্দুর রহিম, বিপ্লব মল্লিক প্রঃ মোঃ বিপ্লব, রবিউল ইসলাম, রায়হান উদ্দিন, মোঃ শামীম, সাগর দাশ এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত রবিউল হাসান হৃদয়কে গ্রেফতার করেন। অপরদিকে ডিবি (পশ্চিম) বিভাগ এর সহায়তায় এজাহার নামীয় ১নং বিবাদি মোঃ ইলিয়াছ মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়।