হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:
গত ১৩ অক্টোবর নগরীর পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা ড্রামভর্তি অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা থেকে ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী সোহানুর রহমান (২২), রুবেল, আশিক ও লিটন নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
পতেঙ্গা থানার ওসি আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর জানান, স্ত্রী আতিয়াকে নিয়ে নগরের পতেঙ্গা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সোহানুর। স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে ১১ অক্টোবর রাতে সোহানুর আতিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। আতিয়ার বাবার নাম আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, মেহেদির রং মুছে যাওয়ার আগেই প্রাণ হারাতে হয় নববধূকে। দুই মাস আগে মামাতো বোন আতিয়া আক্তারকে (১৮) বিয়ে করেছিল সোহানুর রহমান।
জিজ্ঞাসাবাদে সোহানুর পুলিশকে জানিয়েছে, আতিয়াকে হত্যার পরদিন সকালে সোহানুর তার বন্ধু রুবেল ও আশিককে বাসায় ডেকে আনে। তাদের সহযোগিতায় মরদেহ একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে তার কর্মস্থল পতেঙ্গার একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গুদামে নিয়ে রাখে। ১৩ অক্টোবর রাতে গুদাম থেকে ড্রামভর্তি মরদেহ সিএনজি অটোরিকশায় তুলে পতেঙ্গা কালীবাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এজন্য অটোরিকশা চালক লিটনকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর সোহানুর কুমিল্লা চলে যায়।