মোঃ আরফাতুল ইসলামঃ
রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া পুরানো রেওয়াজে পরিণত হলেও এবার কিন্তু রোজায় নিত্য প্রয়োজনীয় লেবু, শসা ও কলা এ তিন পণ্যের মূল্যে যেন আগুন ধরেছে।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
এসব পণ্যে হাত দেয়া যাচ্ছে না নিম্নমধ্যবিত্ত সাধারণ ক্রেতাদের। রোজার দুদিন পূর্বেও এসব পণ্যের বাজার মূল্য স্বাভাবিক থাকলেও রোজার শুরুতেই ইফতার তৈরির এ উপাদান গুলোর দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
এছাড়াও ইফতারির প্রধান উপকরণ বেগুন ও ধনেপাতার দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক। বিশেষ করে রীতিমতো অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে কলা শসা ও লেবু'র দাম।
[caption id="attachment_883" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
গেল বৃহঃস্পতিবার (৭ এপ্রিল) হাটহাজারী বাজার,বাসস্ট্যান্ড বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার দু'দিন আগেও যে লেবু প্রতি হালি বিক্রি করা হতো ২০ থেকে ৩০ টাকায়, এখন সে লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে ইফতারিতে লেবুর শরবত যেন অলীক বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
অপরদিকে লেবুর সাথে পাল্লা দিয়ে শুঁ-শুঁ করে দাম বেড়েছে শসা, ধনেপাতা ও কলার। এর সবই ইফতারি তৈরির উপাদান।
উপজেলার চৌধুরীহাট,আমানবাজার,বাসস্যান্ড বাজার,কাঁচা বাজার, ইছাপুর বাজার, সরকারহাট বাজারসহ, কাটিরহাট কাঁচাবাজারে পর্যবেক্ষণ দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। অথচ রোজার দুদিন আগেও এ শসা বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৫০ টাকায়। গেল সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ধনেপাতার দাম বেড়ে গিয়ে দাড়াল ২০০-২৩০টাকা।
[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]
অপরদিকে রোজার আগের দিন থেকেই কলার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতিবছর রমজান এলে কলার বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে কলার প্রচুর যোগান থাকলেও একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এই রমজানকে পুঁজি করে কলার দাম বাড়িয়ে দেয় হুট করে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানের আগের দিনই মহেশখালীতে কলার দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ তিনগুণ। এক সপ্তাহ আগেও কলা বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ১৬ থেকে ২০ টাকা, অথচ প্রথম দিন থেকে এক লাফেই কলার দাম হালি (মাঝামাঝি আকৃতির) প্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়। প্রতিটি কলা ১০থেকে ১২টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। চড়া দামের জন্য দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে গেছে কলা।
বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
[caption id="attachment_2711" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
হাটহাজারী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, বাজারে লেবু ও শসার সরবরাহ কম। এদিকে রোজার আগে এই দুই পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। যার ফলে দামও বেড়েছে। তিনি বলেন করোনাকালেও লেবুর দাম এভাবে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়নি।
[caption id="attachment_310" align="alignnone" width="212"] বিজ্ঞাপন[/caption]
এদিকে রমজানে এতো বেশি দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের দাবি, রামজান মাসজুড়ে প্রশাসন কতৃক বাজার মনিটরিং ও মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে না দিলে আরও বেপরোয়া হতে পারে অসাধু ব্যবসায়িরা। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও দোকানিদের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলছেন তারা।